বিভিন্ন গণ মাধ্যমে প্রকাশিত মর্জিনা বেগমের কষ্টের অবসানে নিজ উদ্যোগে ঘর তৈরি করে দিলেন মানবতার সেবক ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ডঃ কেএম কামরুজ্জামান সেলিম।
কয়েক দিন আগে গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন লেখনীর মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে মর্জিনা বেগমের কষ্টের করুন কাহিনী। ভাংগা ঘর বৃষ্টির পানিতে ভেঙে গেছে, ঝরের তীব্রতায় শনের ঘরের চালা উড়িয়ে নিয়ে গেছে। ভালো একটা ঘরের অভাবে নিদারুণ কষ্টে দিনাতিপাত করছিল মর্জিনা বেগম।
প্রকাশিত মর্জিনা বেগমের ঘটনাটি জেলা প্রশাসকের নজরে পরার পরই তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবদুল্লাহ আল মামুনকে মর্জিনা বেগমের খোঁজ খবর নিয়ে অবগত করার নির্দেশনা প্রদান করেন।
তাৎক্ষণিকভাবে ইউএনও সদর মর্জিনার বাড়িতে গিয়ে তার অবস্থা দেখেন এবং জেলা প্রশাসককে অবহিত করেন।
পরে জেলা প্রশাসক সিদ্ধান্ত নেন মুজিব বর্ষ উপলক্ষে টীম ঠাকুরগাঁও (বাংলাদেশ এ্যাডমিনিস্টেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন,ঠাকুরগাঁও জেলা) এর পক্ষ হতে মর্জিনাকে ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে।
আজ মর্জিনাকে দেয়া কথা রাখতে জেলা প্রশাসক এবং এ্যাডমিনিস্টেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের জেলা সভাপতি ড.কেএম কামরুজ্জামান সেলিম সকল সদস্যদের সাথে নিয়ে মর্জিনা বেগমের বাড়িতে যান এবং তার জন্য নির্মিতব্য ঘরের ভিত্তি প্রস্তর স্হাপন করেন।
এছাড়া জেলা প্রশাসক মর্জিনা বেগমকে বয়স্ক ভাতা দেয়ার আশ্বাস দেন এবং শীত নিবারনের জন্য লেপ এবং কিছু আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।
সহায়তা পেয়ে ও ঘরের ভিত্তি প্রস্তর দেখে মর্জিনা বেগম জেলা প্রশাসক ও তার টীমের জন্য অন্তর থেকে দোয়া করেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক ডঃ কেএম কামরুজ্জামান সেলিম জানান,এ ঘরের প্রতিটি ইট-বালুর সাথে রয়েছে টীম ঠাকুরগাঁও এর সকল সদস্যের অসীম আবেগ ও ভালোবাসা।
কারণ তাদের উপার্জিত বেতনের অর্থ দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ ঘর। জেলা প্রশাসক আরো জানান, জেলা প্রশাসনের সর্বকনিষ্ট কর্মকর্তা হতে সর্বোচ্চ কর্মকর্তার অংশগ্রহনে এ ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। ভালো থাকুক মর্জিনা বেগম সর্বদা এ কামনা সবসময় থাকবে জেলা প্রশাসনের একথাও জানান তিনি।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]