গায়ে হ্যালো ছাত্রলীগের হলোগ্রাম সম্বলিত টি-শার্ট, গলায় পরিচয়পত্র আর মাথায় রঙিন গামছা বেঁধে রাজপথ ছেড়ে অসহায় কৃষকদের ক্ষেতের ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়পুরহাটের পাঁচবিবি উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। চলমান করোনাকালীন শ্রমিক সংকটে তাদের এই উদ্যোগ বেশ সাড়া ফেলেছে, কষ্টের ফসল ঘরে তুলতে পেরে বেশ খুশি অসহায় কৃষকরাও। শুধু ধান কাটা মাড়াইয়ের কাজই নয়; হ্যালো ছাত্রলীগের দেওয়া ফোন নাম্বারে কল করলেই ফোনদাতার ঘরে পৌছে দিচ্ছেন খাবার। দিচ্ছেন ফ্রি চিকিৎসা সেবাও।
স্থানীয়রা জানায়, পাঁচবিবি উপজেলার ধরঞ্জী গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান এর ২ বিঘা জমির ধান পেকে গেলেও লোকবল ও অর্থাভাবে কাটতে পারছিলো না। পরে এক প্রতিবেশির পরামর্শে ’হ্যালো ছাত্রলীগ’ এর নম্বরে ফোন করে অসহায়ত্বেও কথা তুলে ধরলে পরের দিনই হ্যালো ছাত্রলীগের উদ্যোক্তা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পলাশ কুমার ঘোষ ৩০-৩৫ জনের একদল কর্মী সাথে নিয়ে ওই গরীব কৃষকের ক্ষেতের পাকা ধান কেটে বাড়ি পৌছে দেয়ার পাশাপাশি মাড়াই করে দেন।
ধরঞ্জী গ্রামের কৃষক মজিবর রহমান বলেন, খুব চিন্তায় ছিলাম ধান ঘরে তুলতে পারবো কী-না। প্রতিবেশীর মাধ্যমে খবর পাই ফোন করলেই ছাত্ররা অসহায় কৃষকদের ধান কেটে দিচ্ছে। তাই আমি ওদের ফোন করি। ফোন পেয়েই যে পরদিনই আমার ধান কেটে ঘরে তুলে দিবে সেকথা ভাবিনি। খুব ভাল লাগছে কষ্টের ফসল ঘরে পেয়ে। ছাত্র রাজনীতি করা ছেলেরা সুপথে ফিরছে দেখে গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে।
স্থানীয় সাংবাদিক আক্তার হোসেন বকুল বলেন, ছাত্রলীগের যে ভাবে এই সংকটে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে তা সত্যিই প্রশংসার দাবিদার। ছাত্রলীগ যেন অতিতের সব অপবাদ মুছে ফিরে পেতে যাচ্ছে তাদের হারানো ঐতিহ্য।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক পলাশ কুমার ঘোষ বলেন, হ্যালো ছাত্রলীগের দেয়া ফোন নাম্বারে কল করলেই ফোনদাতা অসহায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিচ্ছি আমরা। যাদের ঘরে খাবার নেই ফোন করলেই পৌছে দিচ্ছি খাবার, এমনকি চিকিৎসা। করোনা সংকটকালীন সময়জুড়ে এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
শফিউল বারী রাসেল, জয়পুরহাট থেকে
Some text
ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]