নীলফামারী সদর উপজেলার কীর্তনীয়া পাড়ার C.H.P অর্থাৎ ক্লাসিকাল হ্যান্ড মেড প্রোডাক্ট কোম্পানিতে ৪ মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে এবং মজুরি বাড়ানোর জন্য শ্রমিক ধর্মঘট চলছে। শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা গেছে যে, ক্লাসিকাল হ্যান্ড মেড প্রডাক্ট নীলফামারীর হাজীগন্জ কীর্তুনিয়া পাড়া ইউনিট এ বিগত ৪ মাস যাবৎ বেতন না দিয়ে কাজ করিয়ে যাচ্ছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
শ্রমিকরা বেতন চাইলে তাদেরকে পরে দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন কোম্পানির কর্মকর্তাবৃন্দ। গতকাল কোম্পানির কর্মকর্তা (কোয়ালিটি ম্যানেজার) জনাব দুলাল সাহেবের নিকট শ্রমিকেরা বেতন কবে দিবে তা জানতে চাইলে দুলাল সাহেব শ্রমিকদের উদ্দেশ্য করে বলেন যে, “কোম্পানি বেতন দিবে না যদি তোরা চাকরি করতে চাস তাহলে কাজ কর, আর যদি কাজ না করিস তাহলে তোরা সবাই কোম্পানি থেকে বেরিয়ে যা। তোদের মত শ্রমিক অনেক পাওয়া যায়। তোদের মত শ্রমিকদের আমার প্রয়োজন নেই।”
দুলাল সাহেব CHP চ্যায়ারম্যানের অাপন ভাগ্নে। কথাটি শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা উত্তেজিত হয় এবং তার প্রতিবাদ জানিয়ে তাকে ধাওয়া করতে থাকে। দুলাল সাহেব শ্রমিকদের দৌড়ানি খেয়ে কোম্পানির এডমিন সেকশনের কর্মচারীবৃন্দের সহায়তায় পেছনের দেওয়াল ভেঙ্গে নিরাপদে প্রভাবশালী স্থানীয় ব্রাহ্মণ পরিবারের স্ত্রী কনিকা রানীর নিকট গিয়ে নিরাপদ আশ্রয় প্রার্থনা করিলে কনিকা রানী এবং তার পরিবার দুলাল সাহেবকে শ্রমিকদের কবল থেকে রক্ষা করে। বর্তমানে সে সুরক্ষিত আছে।
কনিকা রানী ওই কোম্পানির সুইং সেকশনের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ হিসেবে কর্মরত আছেন। কোম্পানি কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের শান্ত করতে ব্যর্থ হলে শ্রমিকেরা কোম্পানির প্রধান গেট দিয়ে বেরিয়ে রাস্তা অবরোধ করে। রাস্তা অবরোধ করলে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে।
ঘটনা চরম পর্যায়ে পৌছালে পুলিশ এসে শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। বর্তমানে কোম্পানিটি সাময়িকভাবে বন্ধ আছে। আগামী 15/02/2020 ইংরেজি রোজ শনিবার শ্রমিকদের সঙ্গে মীমাংসা মুলক মিটিং করবেন বলে জানিয়েছেন কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। জানা গেছে যে, মালিক পক্ষের কিছু দুর্নীতি গ্রস্থ লোকের জন্য ক্লাসিকাল হ্যান্ড মেড প্রোডাক্ট কোম্পানির সকল ইউনিট বর্তমানে মৃত প্রায়। প্রোডাক্ট এর কোয়ালিটি খারাপ হওয়ার কারণে বায়ার নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছে না, যার কারণে কোম্পানিটি আগের মত সোজা হয়ে দাঁড়াতে পারছে না।
কোম্পানি কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন আত্মীয়-স্বজন (মামা, খালু, মামাতো ভাই, চাচাতো ভাই, ফুফাতো ভাই, ভাগ্নে) অত্র কোম্পানিতে প্রধান প্রধান পদে চাকুরীরত আছেন. যারা কোম্পানির পরিচালনার জন্য সম্পূর্ণরূপে অক্ষম। আর সেজন্যই কোম্পানির সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কোন দক্ষ লোককে নিয়োগ দিলে নিয়োগকৃত কর্মচারী কর্মকর্তা বৃন্দগন উল্লেখিত কোম্পানির নিয়োগকৃত আত্মীয়-স্বজনের কারণে স্বাধীনভাবে তারা কাজ করতে পারে না।
এমনকি তাদের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর আজগুবি এবং বানোয়াট তথ্য কোম্পানির সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট কানপড়া দিয়ে থাকেন। কোম্পানির সর্বোচ্চ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বানোয়াট এবং মিথ্যা তথ্য তাদের আত্মীয়-স্বজনের কাছ থেকে শুনে দক্ষ লোকদের কোম্পানি থেকে চাকরীচ্যুত করে থাকেন। আর সেজন্যই কোম্পানিটির প্রোডাক্টের কোয়ালিটি বা গুণগত মান ভালো না হওয়ার কারণে বায়ার নতুন কোনো অর্ডার দিচ্ছে না। যার কারণে কোম্পানি শ্রমিকদের ৪ মাসের বকেয়া বেতন ও মজুরি বৃদ্ধি করতে পারছেন না।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]