শনিবার রাত ১১:১৩, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

দুই লাখ টাকায় মাদক কারবারীকে ছেড়ে দেয়ার অভিযোগে পাঁচবিবি থানার এসআইসহ ৩ পুলিশ সদস্য ক্লোজড

৫১৯ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

মাদক কারাবারীদের সঙ্গে দুই লাখ টাকায় রফাদফা করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে জয়পুরহাটের পাঁচবিবি থানার এক এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজ করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্রায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় থেকে এ আদেশ দেয়া হয়।

ক্লোজ করা পুলিশ সদস্যরা হলেন- পাঁচবিবি থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুর রহমান, উপ সহকারী-পরিদর্শক (এএসআই) রবিউল আউয়াল ও ওয়ারলেস অপারেটর মুক্তার হোসেন।

স্থানীয় সুত্র ও পাঁচবিবি থানা পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে পাঁচবিবি থানার অভিযুক্ত ওই তিন পুলিশ সদস্য পাশের জেলা দিনাজপুরের হাকিমপুর থানার সাতকুঁড়ি এলাকার হাড়িপুকুর অবস্থান নেয়। সেখান থেকে তারা মাদক কারবারী হাকিমপুর উপজেলার রায়ভাগ গ্রামের কোরবান আলীর ছেলে আমজাদ হোসেনকে ১হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক করেন। পরে তাদের পাঁচবিবি উপজেলার সোনাপুর এলাকায় এনে এসআই আমিনুরের সোর্স হিসেবে পরিচিত দিনাজপুরের নবাবগঞ্জ উপজেলার হাসেরপাড়া গ্রামের মারফিদুল ও শাকিল হোসেনের মধ্যস্থতায় আড়াই লাখ টাকা দফারফা হয়। এরমধ্যে নগদ দুই লাখ টাকা নিয়ে মাদককারবারী আমজাদকে ছেড়ে দেয় তারা। বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য ওই সোর্সরা আমজাদকে চাপ দিতে থাকলে তার পরিবার বিষয়টি স্থানীয় প্রেসক্লাব, হাকিমপুর থানা ও  জয়পুরহাট জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তাকে জানান।

অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ সুপার সালাম কবিরের আদেশে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেনের তত্ত্বাবধানে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তে প্রাথমিকভাবে ওই ৩ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পেয়ে এসআই আমিনুর রহমান ও এএসআই রবিউল আউয়ালকে ক্লোজ করে জয়পুরহাট পুলিশ লাইনে আর ওয়ারলেস অপারেটর মুক্তার হোসেনকে ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

হাকিমপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক আকন্দ বলেন, জয়পুরহাট জেলা পুলিশের একটি তদন্ত টিম হাকিমপুরে তদন্ত করেছেন। বিষয়টি যেহেতু অন্য জেলার সেহেতু তারাই ভাল বলতে পারবেন। তবে এ ঘটনায় জড়িত সোর্স  মারফিদুল ও শাকিলকে আটক করে জেল-হাজতে পাঠানো হয়েছে।

পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ মনসুর রহমান জানান, ৬ ফেব্রুয়ারি পাঁচবিবি থানার ওই তিন পুলিশ সদস্য কোনো অনুমতি ছাড়াই পাশের জেলা দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সাতকুঁড়ি এলাকায় অবস্থান নেয়। সেখানে মাদক কারবারীদের কাছ থেকে দুই লাখ টাকা নিয়ে তাদের ছেড়ে দেওয়ার বিষয়টি স্থানীয় লোকজন প্রথমে হাকিমপুর প্রেসক্লাব, হাকিমপুর থানা ও পরে জয়পুরহাট জেলা পুলিশকে অবগত করে। এ বিষয়টি আমলে নিয়ে জয়পুরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাজ্জাদ হোসেনকে তদন্তভার দেওয়া হলে তিনি এ অভিযোগের সত্যতা পান। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের তদন্ত রিপোর্ট হাতে পেলে আজ সন্ধ্যায় ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা অভিযুক্ত ওই তিনজনকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে নেয়।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার সালাম কবীর পিপিএম জানান, বিয়টি তদন্তে প্রমানিত হওয়ায় অভিযুক্তদের বরখাস্ত করা হয়েছে।

শফিউল বারী রাসেল, জয়পুরহাট থেকে।

Some text

ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি