ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া মনিয়ন্দ গ্রামে প্রেম এবং কুপ্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইসা (১৫) নামে নবন শ্রেণির এক ছাত্রীকে পিটিয়ে আহতকারী সেই বখাটেরা এখনো নাগালের বাইরে। এ ঘটনায় ঐ ছাত্রীর পিতা মো. দাগন মিয়া বাদী হয়ে গত শুক্রবার (২৬ জুলাই) বিকালে আখাউড়া থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।মামলার আসামীরা হলেন,আখাউড়ার মনিয়ন্দ ইউপির পাথারিয়াটেক (নানার বাড়ি)গ্রামের ইবন মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া(২২), রহিজ মিয়ার ছেলে ইকরাম মিয়া(২২),আবুল খায়েরের ছেলে ইকবাল মিয়া(৩৫) এবং অজ্ঞাতনামা আরো ২ জন। অথচ রহস্যজনক কারনে মামলার ৩ দিন হয়ে গেলেও এখনো কোনো আসামী ধরা পরেনি ।আসামীরা ধরা না পড়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নির্যাতিত ছাত্রীর পিতা মো:দাগন মিয়া ও তার স্ত্রী সাংবাদিককে জানান,’দীর্ঘ ৭ মাস যাবৎ বখাটে হৃদয় ও তার সহযোগীরা আমার মেয়েকে ইভটিজিং করে আসছে। তাদের কুপ্রস্তাবে রাজি না হলে আমার মেয়ে সহ পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।ওরা মাদক ব্যবসায়ী,টাকাওয়ালা এবং দাপটশালী হওয়ায় এ ব্যাপারে কেউ আমাদেরকে সাহায্য করেনা।ধর্ষণ চেষ্টার সময় খবর পেয়ে আমরা আমাদের মেয়েকে ছেড়া কাপড়সহ গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি।আমি গাছ কেটে,ঠেলাগাড়ি চালিয়ে এবং দিনমুজুরি করে সংসার চালায়।এখন আসামীরা আমাদের ওল্টো মিথ্যা মামলা এবং হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’
জানা গেছে, আখাউড়া উপজেলা মনিয়ন্দ গ্রামের মাদক সম্রাট ইবনের ছেলে বখাটে হৃদয় বিভিন্ন সময় স্কুলছাত্রী ইসা সহ আরো অনেক স্কুল ও কলেজ গামী ছাত্রীদের উত্ত্যক্ত করত। হৃদয় ও তার বন্ধুরা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থাকার কারনে সাধারণ ছাত্রীরা ভয়ে সব নির্যাতন মুখ বুঝে সহ্য করতো।শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ইসা গ্রামের রাস্তা দিয়ে তার আত্মীয়ের বাড়িতে যাবার পথে পাতাইরাটেক নামক এলাকায় পৌঁছলে বখাটে হৃদয় ইসার পথরোধ করে। এ সময় ওই বখাটের কুপ্রস্তাবে ইসা রাজি না হলে এলোপাতাড়ি ভাবে কিল-ঘুষিসহ বেদম মারপিট করে। এতে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসলে বখাটে হৃদয় পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে। এ বিষয়ে মনিয়ন্দ ইউপি চেয়ারম্যান কামাল মিয়া,ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি শিশু মিয়া এবং মনিয়ন্দ গ্রামের মেম্বার ফিরুজ মিয়া সাংবাদিককে বলেন, ‘খবরটা কিছুটা শুনেছি।তবে কোনো পক্ষই আমাদের কাছে অভিযোগ নিয়ে আসেনি।তাই এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি। এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এর চিকিৎসক ডা:গুলজার বলেন, রোগীর অবস্থা আশংকাজনক। রোগী বুমি করতেছে,মস্তিষ্কে রক্ত ক্ষরণের সম্ভাবনা থাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজে স্থানান্তর করা হয়েছে। আখাউড়া থানার ওসি রসুল আহমেদ নিজামী বলেন, বখাটে হৃদয় সহ আসামীদের কে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
অমিত হাসান অপু:আখাউড়া থেকে
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]