গত ১৩ মার্চ ২০১৯ লালমনিরহাট বিমানবন্দর পরিদর্শনে আসেন বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চীফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত। গত ১২ মার্চ প্রথম বারের মত দিনভর পরীক্ষামুলক দুইটি ফিক্সড উইং বিমান একাধিকবার সফলভাবে অবতরন ও উড্ডায়ন করে। আন্তঃবাহিনী সংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) ও বিভিন্ন দফতরে পাঠানো লালমনিরহাট বিমান বাহিনীর অধিনায়ক স্কোয়াড্রোন লিডার খায়রুল মামুন স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে জানা গেছে, লালমনিরহাট বিমান বন্দরটি চালু করতে সরকারীভাবে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এ প্রেক্ষিতে বিমানবন্দরটির সম্ভাব্যতা যাচাই করতে ফিক্সড উইং (L- 410) উড্ডয়ন ও অবতরন করা হয়।বিমান বাহিনী সুত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ও হারাটি ইউনিয়নের এক হাজার ১৬৬ একর জমি অধিগ্রহন করে ১৯৩১ সালে এ বিমান ঘাঁটি তৈরী করেন তৎকালিন ব্রিটিশ সরকার। দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় মিত্রবাহিনী এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম এ বিমানবন্দরটি ব্যবহার করে। ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর এটি অব্যবহৃত হিসেবে জৌলুস হারাতে বসে।
তবে ১৯৫৮ সালে স্বল্পপরিসরে বিমান সার্ভিস চালু হলেও তা বেশি দিন অব্যাহত থাকেনি।দেশ স্বাধীনের পর এ বিমানবন্দর বিমান বাহিনীর হেডকোয়ারটার করার কথা থাকলেও বাস্তবে তা পরিত্যাক্ত থেকে যায়। ফলে ৪ কিলোমিটার রানওয়ে, বিশাল টারমাক, হ্যাঙ্গার, ট্যাক্সিয়ে- এগুলো সবই পরিত্যক্ত থেকে যায়। ১৯৮৩ সাল থেকে এখানে কৃষি প্রকল্প গড়ে তুলে বিমানবাহিনী কর্তৃপক্ষ।বুড়িমারী স্থলবন্দরের পাসপোর্ট ধারী ভারত, ভুটান ও নেপালের যাত্রীদের আকাশ পথে ঢাকার সাথে যোগাযোগ রাখতে গুরুত্বপুর্ন ভুমিকা রাখবে এ বিমানবন্দর। এ ছাড়াও স্থলবন্দরসহ এ অঞ্চলের ব্যবসা বাণিজ্যের প্রসার ঘটাতে বিমান বন্দরটি চালুকরণে দীর্ঘদিন দাবি করে আসছে জেলাবাসী। এ দাবি পুরণে বর্তমান সরকার বিমান বন্দরটি চালু করতে সিদ্ধান্ত গ্রহন করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত
[sharethis-inline-buttons]