শুক্রবার সকাল ৬:২৪, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

টিকিট সংকট ও সমস্যা আর থাকবে না- আখাউড়ায় রেলপথমন্ত্রী

৯৪১ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, এক সময় জনগণের একমাত্র চলাচলের প্রধান ও নির্ভরযোগ্য বাহন ছিল রেল। পরিকিল্পত ভাবে রেলের উন্নয়ন ধারাবাহিক ভাবে ধরে রাখা যায়নি। আলাদা রেলপথ মন্ত্রণায়ল হওয়ার পর রেলের যে উন্নয়ন হয়েছে দেশের মানুষের রেলের প্রতি আস্থা তৈরি হয়েছে।

দেশে সকল মিটার গেজ রেললাইনকে ব্রর্ডগেজে পরিণত করা হবে। আজ শুক্রবার বিকেলে আখাউড়া-আগরতলা নির্মাধীন রেলপথ পরিদর্শনে এসে আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের ব্রিফিংককালে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় প্রকল্প পরিচালক শহীদুল ইসলাম, আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ সামছুজ্জামান সহ রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ১৯৬৫ সালের পূর্বে ভারত পাকিস্তান যুদ্ধের আগে যেসব পয়েন্ট গুলো দিয়ে রেল চলাচল করেছিল। সেই গুলো চালু করার জন্য কাজ করা হচ্ছে। ইতি মধ্যে ৮টি পয়েন্টের মধ্যে ৪টি দিয়ে ঢাকা থেকে কলকাতা, খুলনা থেকে কলকাতা যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে।

মন্ত্রী আরও বলেন, আগরতলার সাথে এ অঞ্চলের মানুষের বিরাট সম্পর্ক রয়েছে। জনগণের দীর্ঘদিনের দাবি ছিল আখাউড়া-আগরতলা রেলপথ চালু করার। ভারতও এতে আগ্রহী। আখাউড়া আগরতলা রেল পথ চালু হলে ভারতের সেভেন সিস্টার রাজ্যগুলোর ব্যবসা বাণিজ্যে যেমন উপকার হবে তেমনি ভাবে বাংলাদেশর ও উপকার হবে। পানিপথ ব্যবহার করার জন্য ভারত বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। ভারত আমাদের প্রতিবেশী দেশ। মুক্তিযুদ্ধের সময় ১ কোটি শরণার্থীকে জায়গা দিয়েছে। শুধু তাই নয় সৈন্য ও অস্ত্র দিয়ে সাহায্য করেছে। এ দেশের জন্য ভারতও রক্ত দিয়েছে। তাদের রক্তের অক্ষরে ভারতের সাথে আমাদের সম্পর্ক। সর্ব দিক থেকে ভারতের সাথে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাক এইটা আমাদের সরকারের লক্ষ্য।

রেলপথমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমরা একটি উন্নত দেশের স্বপ্ন দেখছি। উন্নত দেশের রেলওয়ের উন্নত হবে। যেদেশ যত উন্নত সেদেশের রেলব্যবস্থা তত উন্নত। একশ ইঞ্জিন ও সাড়ে পাঁচশ কোচ অচিরেই আসছে। এগুলো রেলওয়ে যোগ হলে টিকিট সংকটসহ আর কোন সমস্যাই থাকবে না। জুন মাসের মধ্যে ২শত কোচ পাওয়া যাবে। ধীরে ধীরে সাড়ে পাঁচশত কোচ যোগ হবে রেলওয়েতে।

মন্ত্রী বলেন, একটি দল দেশ গঠন করছে। দেশকে গড়ে তুলছে। মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করছে। ২০০৮ সালে বিএনপি জামায়াত ২৮টি সিট পেয়েছিল। ২০১৪ সালে সারাদেশে গাছ কেটে জ্বালাও পুড়িয়ে কি পরিবেশ তৈরি করেছিল তা দেশবাসী দেখেছেন। বিরোধী দলের কাজ হল সরকারের ভুলগুলো ধরা। তারা তা করেনি। তারা এখন পর্যন্ত তাদের কোন কর্মসূচী দিতে পারছে না। তারা ক্ষমতায় যাওয়া ছাড়া কোন কর্মসূচী নেই তাদের। দেশ ও জনগণের জন্য কোন কাজ করছে না।

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি