শনিবার রাত ১০:৫৬, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

আমার দিনরাত্রী পর্ব-৪

৯৭৩ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

মাটির মানুষ অবাধে আকাশে বিচরণ শুরু করল। মানুষ পুকুর, দিঘী, খাল খনন করতে পারে। কিন্তু নদী বা সাগর তৈরী করতে পারে না। মানুষ যেদিন সুয়েজ খাল, পানামা খাল তৈরী করল! সেদিন থেকে বলতে গেলে ¯্রষ্টার তৈরী পৃথিবীর উপর মানুষের সরাসরি হস্তক্ষেপ হল। সেটা আরও ঘনীভূত হল যখন মানুষ ভূগর্ভ থেকে খনিজ পদার্থ উত্তোলন আরম্ভ করল।

স্রষ্টা বলছেন, পাহাড় দিয়েছেন ভারসাম্য রক্ষার জন্য। পেড়েক স্বরূপ আর আমরা সৃষ্টিরা পাহাড় ধ্বংস করছি। মানুষ পারমাণবিক তথ্য অর্জন করেছে। মাটির মানুষ মহাশুন্যে ছুটে চলেছে! এরপরও মানুষের আয়ু কিন্তু সেই এক মিনিটই। হাজার হাজার বছর পুর্বে মানুষ যখন আগুনের ব্যবহার জানত না। বিদ্যুৎ-পারমাণবিকের ব্যবহার জানত না। পেনিসিলিন-এন্টিবায়টিক আবিস্কৃত হয়নি। এত কিছুর পরেও মানুষ কিন্তু সেই তিমিরেই।

মানুষ সসীম, স্রস্টা অসীম, সসীম অসীমের ব্যাপার বুঝবার কোন ব্যবস্থাই নাই! আমাদের স্থানীয় ভাষায় যেমন বলা হয়ে থাকে, আকাটা বাঁশের আগা ধরে টানাটানি। তারপরও স্রষ্টাকে জানার জন্য, বুঝার জন্য, চিনবার জন্য মানুষের প্রচেষ্টা থেমে নেই।

মানুষের মধ্যে যারা জ্ঞানী তাদের চেষ্টা থেমে নেই। এদের মধ্যে কিছু মহামানব ঘোষনা দিয়েছেন স্রষ্টার সঙ্গে তাদের যোগাযোগ হয়েছে, কথার্বাতা হয়েছে। তাদেরকে নবী বলা হয়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ তাদের ঘোষনায় আস্থা স্থাপন করেনি! যারা নবীদের ঘোষনায় আস্থা স্থাপন করেছে তাদেরকে বলা হয় ধার্মিক। নবীদের ঘোষনায় যারা আস্থা স্থাপন করেনি, তাদেরকে বলা হয় অধার্মিক অথবা নাস্তিক। আবার ধার্মিকদের মধ্যে বহু বিভাজন! বিভিন্ন মতে বিভক্ত কথিত ধার্মিকরা। এরই মধ্যে জীবন চলমান, নতুন করে কিছু মানুষ জন্ম হচ্ছে। পুরাতন মানুষেরা মৃত্যুবরণ করছে। কোন কিছুই থেমে থাকে না, চলমান। তেমনি আমার মৃত্যুতেও কোন কিছুই থেমে থাকবে না।

সত্যকে ঢেকে রাখাকে ধর্মীয় পরিভাষায় কুফুরি বলা হয়। ধর্মীয় পরিভাষায় আর একটা শব্দ আছে যেটাকে বলা হয় মুনাফেকি। সেটা আরও খারাপ-জঘন্য। মানব সমাজে কত রূপের-কত মতের মানুষ আছে, ধার্মিক- অধার্মিক-আস্তিক-নাস্তিক-কাফের-মুনাফিক আরও কত কি? কোনটা সত্য!

ঘুষের মাধ্যমেও সরকারী চাকরী জোগার করা যায়। অপরদিকে যোগ্যতার মাধ্যমেও সরকারী চাকরি পাওয়া যায়। যে ব্যক্তি ঘুষের মাধ্যমে চাকরি পেয়েছে, তাকে গলা কেটেও বিশ্বাস করানো যাবে না। যোগ্যতার মাধ্যমে সরকারি চাকরি পাওয়া যায়! আবার যোগ্যতার মাধ্যমে যে ব্যক্তি চাকরি পেয়েছে, তাকে যদি বলা হয় ঘুষের মাধ্যমে সরকারি চাকরি লওয়া যায়। তার কাছে কথাটা মিথ্যা বলেই মনে হবে!

শেখ হাসিনা দেশের প্রধানমন্ত্রী। বেগম খালেদা জিয়া তিনিও দীর্ঘদিন প্রধানমন্ত্রীর ছিলেন। এখন শেখ হাসিনা আদালতের রায়ের মাধ্যমে বলছেন বেগম খালেদা জিয়া ও তার পুত্র তারেক রহমানসহ আরও কতিপয় ব্যক্তি মিলে এতিমদের দুই কোটি টাকা আতœসাৎ করেছেন। বেগম জিয়া অবশ্য আদালতে দাড়িয়ে বলেছেন অভিযোগ মিথ্যা। আদালতে অবশ্য বেশিরভাগ আসামিই তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে। এমতবস্থায় এ ব্যাপারে আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই তেমন আগ্রহ বোধ করে না।

আমার কাছে ব্যাপারটা খুবই সিরিয়াস বলে মনে হয়। ব্যাপারটা গুরুত্বপূর্ণ এজন্য যে আমরা সবাইতো সমস্যার সমাধান চাই। সমাধান প্রথম থেকে শুরু করতে হবে। আর দেশের ষোলো কোটি মানুষের ক্রমধারা মহামান্য রাট্রপতি, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্পীকার, বিরোধীদলীয় নেতা, মন্ত্রীমন্ডলী, বিচারপতিগণ, সচিবগণ, উর্দ্ধতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তাগণ, শিল্পপতিগন, প্রভাবশালী বড় ব্যবসায়ী, দেশ-বিদেশে সুনাম অর্জনকারী ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ারগন, গন্যমান্য নাগরিকবৃন্দ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকগণ ও উপার্চাযগন এভাবে তালিকা তৈরী করলে বেগম খালেদা জিয়ার নাম তালিকার উপরের দিকেই থাকবে। তাই বলছিলাম কি সমাধান র্শীষ থেকেই আরাম্ভ হউক।

বেশীর ভাগ মানুষ হাসিনা খালেদা প্রসঙ্গ এড়িয়ে চলতে চায়! এটা একধরনের স্ববিরোধী চালাকি, অনেকটা নিজের সঙ্গে নিজেকে প্রতারণার শামিল। শিক্ষিত মানুষ সাধারনত সংবাদপত্র পাঠ করেন। আর শিক্ষিত অশিক্ষিত সকল প্রকার নাগরিকেরাই টেলিভিশন দেখেন। সংবাদপত্র আর টেলিভিশন এমনকি বিচারালয়ও হাসিনা আর খালেদা নিয়ে ব্যস্ত! আর আমি আপনি নগন্য নাগরিকেরা যদি রাষ্ট্রের প্রধান ব্যক্তিদের বিষয় এড়িয়ে চলতে চেষ্টা করি তাহলে কি সেটা বাস্তব সম্মত!

চলবে…

Some text

ক্যাটাগরি: মতামত

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি