রেলপথে যাত্রী পরিবহণে চাহিদা বরাবরই। চলমান ট্রেনের সঙ্গে আগামী বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) থেকে রেলবহরে আরও ১২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন এবং ২৪ জোড়া মেইল, কমিউটার চালু করা হচ্ছে। সবমিলিয়ে আরও ৭২টি ট্রেন চালু হচ্ছে। এর আগে লকডাউনের বিধিনিষেধ শেষে গত ১১ আগস্ট থেকে ৩৮ জোড়া আন্তঃনগর এবং ২০ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেনে যাত্রী পরিবহণ শুরু হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদাত আলী জানান, আগামী ১৯ আগস্ট থেকে পুরোদমে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হচ্ছে। ইতোমধ্যে ১২ জোড়া আন্তঃনগর ট্রেন ও ২৪ জোড়া মেইল এবং কমিউটার ট্রেন চলাচলের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে চট্টগাম-সিলেট রুটের জালালাবাদ এক্সপ্রেস, ঢাকা-ময়মনসিংহ রুটের ঈশাখাঁ এক্সপ্রেসসহ কয়েকটি ট্রেন কোচ ও ইঞ্জিন মেরামত বা স্বল্পতার জন্য পরবর্তীতে চালানোর সুপারিশ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, কঠোর নির্দেশনা মেনেই যাত্রীরা ট্রেনে ভ্রমণ করতে হবে। ট্রেনে সবাইকে কোভিড স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। এ ক্ষেত্রে কোনো ধরনের অবহেলা দেখা গেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে গত ১ জুলাই দেশে লকডাউনের কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ হলে অন্য সব যাত্রীবাহী গণপরিবহণের মতো ট্রেন চলাচলও বন্ধ রাখা হয়। ঈদ ঘিরে ১৫ জুলাই থেকে ২২ জুলাই লকডাউন শিথিল করা হলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ও ট্রেন চালু করে।
এরপর ২৩ জুলাই থেকে আবার কঠোর লকডাউন শুরু হলে ট্রেনও থেমে যায়। সেই বিধিনিষেধের সময়সীমা ১০ আগস্ট শেষ হয়। ১১ আগস্ট থেকে বেশিরভাগ বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, রেলওয়ের ৩৬২টি ট্রেনের মধ্যে স্বাভাবিক সময়ে ১০৪টি আন্তঃনগর ট্রেন এবং বাকিগুলো লোকাল, কমিউটার ট্রেন ও মালবাহী ট্রেন চলাচল করে।
ক্যাটাগরি: শীর্ষ তিন, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]