সাংবাদিকগণ প্রশ্ন করেন, ১. একটি অনুমোদনহীন ক্লিনিককে শুধুমাত্র "বিশ্বাস" করে আপনারা অনুমতি দিতে পারেন কি না, ২. সুদূর রূপপুরের নমুনা এখানে পরীক্ষার কারণ কী?, ৩. সেখানকার সিভিল সার্জন বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না। এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
গতকাল ১৫ জুলাই বিভিন্ন গণমাধ্যমে ”ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের” বিরুদ্ধে করোনার ভূয়া নমুনা পরীক্ষার খবর ফাঁস হয়। এতেই নড়েচড়ে বসে পুরো বাংলাদেশ। কেননা করোনা কেলেঙ্কারিতে ইতিমধ্যে ডাঃ সাবরিনা, তার স্বামী আরিফ এবং শাহেদ করিম অভিযুক্ত এবং গ্রেফতারও হয়েছেন। একযোগে বাংলাদেশের সমস্ত প্রিন্ট, টিভি, অনলাইন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এদের নিয়ে তোলপাড়। এরই মধ্যে করোনা প্রতারণায় নাম বেরিয়ে এল ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ডাক্তার আবু সাঈদের।
এদিকে গণমাধ্যমে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও ডাক্তার আবু সাঈদের নাম যুক্ত হওয়ায় মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সাংবাদিক সম্মেলন আহ্বান করে। কিন্তু এই সাংবাদিক সম্মেলনে মেডিকেল কর্তৃপক্ষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।
এমনকি তাদের গোঁজামিল বক্তব্যে সাংবাদিকগণ একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। অথচ তারা দাবি করছেন গতকাল প্রকাশিত হওয়া বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ইত্যাদি। এ বিষয়ে সাংবাদিকদের তারা একটি দুই পাতার লিফলেট বিতরণ করেন এবং সেটি পড়ে শোনান, যাতে অভিযোগগুলোর সুস্পষ্ট জবাব পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের প্রধান পিসিআর (পলিমার চেইন রিঅ্যাকশন) ল্যাবের ইনচার্জ ডা. জাকিউর রহমান বলেন, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অনুমোদনের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আমাদেরকে সরবরাহ করা হবে মর্মে আমরা ‘বিশ্বাস করে’ মেডিকেয়ার ক্লিনিক কর্তৃপক্ষকে নমুনা সংগ্রহের অনুমতি দিয়েছিলাম। গত ৬ জুলাই সংগ্রহকৃত ৫০টি নমুনা দেয়ার পরদিন আমাদেরকে কাগজপত্র সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু কাগজপত্র দিতে না পারায় আমরা তাদের কাছ থেকে আর কোনো নমুনা গ্রহণ করিনি।
সাংবাদিকগণ প্রশ্ন করেন, ১. একটি অনুমোদনহীন ক্লিনিককে শুধুমাত্র ”বিশ্বাস” করে আপনারা অনুমতি দিতে পারেন কি না, ২. সুদূর রূপপুরের নমুনা এখানে পরীক্ষার কারণ কী?, ৩. সেখানকার সিভিল সার্জন বা যথাযথ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা হয়েছে কি না। এসব প্রশ্নের কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি।
সংবাদ সম্মেলনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) শফিকুল ইসলাম, উপ-ব্যবস্থাপক আশাদুল্লাহ মিয়া ও পিসিআর ল্যাব ইনচার্জ এসএম জুনায়েদ ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]