বৃহস্পতিবার রাত ১২:৪১, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

শিমরাইলকান্দি হাজীবাড়ির রাস্তাটি এরশাদের আমলের, ৩৮ বছর আগের

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাও এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত যে, শহরের নদী ও খাল রক্ষা, পুকুর রক্ষা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি কিছুই ঠিকমতো করছে না। পৌরসভার সচিবকে সপ্তাহে প্রায় চারদিনই অনুপস্থিত পাওয়া যায়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার অধীন শিমরাইলকান্দি হাজীবাড়ির রাস্তাটি এরশাদের আমলের, প্রায় ৩৮ বা ৪০ বছর আগের। অথচ এ গ্রামটি শহরের অনন্য একটি গ্রাম। এ গ্রামে রয়েছে সাবেক পাওয়ার হাউজ, বিএডিসি, খাদ্য গুদাম, কৃষি ভবন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, গ্যাসক্ষেত্র, তিতাস নদীর বিশাল অংশ, শহরের সবচেয়ে বড় গোরস্থান ও শ্মশানসহ আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এবং প্রাকৃতিক সম্পদ। ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের মধ্যে এতগুলো জনগুরুত্বপূর্ণ স্থান ও প্রতিষ্ঠান একমামাত্র শিমরাইলকান্দি গ্রামেই অবস্থিত। এগুলো শহরের অন্য কোনো গ্রামে নেই।

হাজীবাড়ির এ রাস্তাটি শিমরাইলকান্দির ০১ নং তিন রাস্তার মোড়, যেটা দিয়ে রেললাইনে যাওয়া যায় এবং রেললাইন হয়ে মূল শহরে প্রবেশ করা যায়। অথচ এ রাস্তাটির করুণদশা।

শিমরাইলকান্দির পূর্বভাগ তিতাস নদীতে ঘেরা, এরও পূবে বিশাল ধানী জমি ও বিল। পশ্চিম দিকটি রেললাইন দিয়ে ঘেরা। আছে দুটো গুরুত্বপূর্ণ রেলসেতু। এ গ্রামের দক্ষিণ দিকটি ঘিরে রেখেছে বিখ্যাত “কুরুলিয়া খাল”। আর পশ্চিম-উত্তর কোণ দিয়ে মূল শহরের সঙ্গে গ্রামের বাসিন্দাদের যোগাযোগ।

হাজীবাড়ির রাস্তাটির আরেকটু ভেতরের দিক। এটি বিএডিসির পরই অবস্থিত। রাস্তাটি আওয়ামীলীগ নেতা শাহনূর ইসলাম ও ইকবাল হোসেনের বাড়ির মাঝখান দিয়ে বয়ে গিয়েছে।

এদিকে এই অনন্য গ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ বা পাড়া- “হাজীবাড়ির” একমাত্র রাস্তাটিই নানা অবহেলায় ব্যবহারের সম্পূর্ণ অনুপযোগী। গত কয়েক বছর আগে এই ভাঙ্গা রাস্তাটির দক্ষিণ পাশ দিয়ে আবার ভেঙ্গে পানির লাইন নেয়া হয়েছে। কিন্তু সংস্কারের নামগন্ধ নেই। প্রাইভেটকার কিংবা মাইক্রোবাস দূরের কথা, রিক্সাই ভেতরে ঢোকে না। আশঙ্কাজনক রোগীকেও হেঁটে আসতে হয় বা কোলে করে আনতে হয়। এই পাড়ায় অর্থাৎ হাজীবাড়িতে বাস করেন কয়েক হাজার মানুষ। এ পাড়ায় এবং আশেপাশে রাজনৈতিক ও সামাজিক পর্যােয়ের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিগণ রয়েছেন। কিন্তু তারা কেউই রাস্তাটি সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছেন না বা পৌরসভার কাছে আবেদন করছেন না।

অন্যদিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভাও এতটাই দুর্নীতিগ্রস্ত যে, শহরের নদী ও খাল রক্ষা, পুকুর রক্ষা, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি কিছুই ঠিকমতো করছে না। পৌরসভার সচিবকে সপ্তাহে প্রায় চারদিনই অনুপস্থিত পাওয়া যায়। কোনো কাজ বা সইয়ের জন্য গেলে দায়িত্বশীলরা অবলীলায় বলেন, সচিব ‘ছুটিতে’ আছেন, পরে আপনাকে আবার আসতে হবে ইত্যাদি। মেয়র ‘মহোদয়’ও ইদানিং মশা মারতে কামান বন্দুক নিয়ে বাইরে যান। সুতরাং এসব রাস্তার খোঁজ-খবর তারা রাখবেন না এটাই স্বাভাবিক।

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply