আসন্ন রমজান উপলক্ষে দেশের মসজিদগুলোতে শর্তসাপেক্ষে মুসল্লিসংখ্যা আরো বাড়ানোর পক্ষে মতামত দিয়েছেন সমাজগবেষক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক জাকির মাহদিন
করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার ক্ষেত্রে সরকার মুসল্লিদের সংখ্যা নির্ধরণ করে দিয়েছেন। ওয়াক্তিয়া নামাজে পাঁচজন, জুমার নামাজে দশজন। তারপরও দেশের বহু জায়গায় অনেক মানুষ সরকারের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে একসাথে নামাজ পড়ছেন। অথচ সরকারের জারি করা এই নিষেধাজ্ঞার বিপরীতে এখনো কোনো মসজিদের ইমাম বা কমিটি যৌক্তিক কোনো ব্যাখ্যা সরকারের সামনে তুলে ধরতে পারেননি।
এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার “শিমরাইলকান্দি হাজিবাড়ি মসজিদের” ভারপ্রাপ্ত ইমাম এবং কমিটি। তারা মিলে এক যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছেন, যা দেশের অন্যান্য মসজিদের ইমাম ও কমিটির জন্য অনুকরণীয় হতে পারে।
শিমরাইলকান্দি হাজীবাড়ি জামে মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ইমাম ও খতিব হাফেজ জাকির মাহদিন বর্তমানে সরকারের স্বাস্থ্যবিধি মেনে এবং আরোকিছু মানবিক দায়িত্ব বাড়িয়ে দিয়ে মুসল্লিদের মসজিদে উপস্থিত হওয়ার শর্তসংবলিত একটি নোটিশ মসজিদের গেইটে ও বারান্দায় টানিয়ে দিয়েছেন।
এতে দেখা যায়, তিনি সরকারের ঘোষণাকে একদিকে আরো শক্তিশালী করেছেন, অন্যদিকে কয়েকটি কঠিন শর্তসাপেক্ষে মুসল্লিসংখ্যা আরোকিছু বেশি হওয়ার পক্ষে মতামত জানিয়েছেন।
দেখা যায়, তিনি তাক্বওয়ার ভিত্তিতে মসজিদে জামাতে নামাজ পড়ার অগ্রাধিকারের পক্ষে মত দিয়েছেন, যা দেশের বিশালসংখ্যক আলেমের সঙ্গে মেলে না। একপক্ষের আলেমগণ সরকারের ঘোষণার সঙ্গে হুবহু একমত। অন্যপক্ষের আলেমগণ সরকারের ঘোষণার কিছুদিন পর কোনো শর্তসাপেক্ষতা ছাড়াই সীমাহীনভাবে সবার জন্য মসজিদ খুলে দেয়ার পক্ষে মতামত ও দাবি জানাচ্ছেন।
কিন্তু তরুণ সমাজগবেষক ও সাংবাদিক জাকির মাহদিন মনে করেন, কঠিন এই সময়টিতে অন্তত দুয়েকটি শর্ত থাকা উচিত, যা হবে সম্পূর্ণই শরীয়তসম্মত। এতে করে একদিকে মসজিদে উপস্থিতি সীমিত হবে, শৃঙ্খলা রক্ষা হবে, অন্যদিকে মসজিদ তালা লাগানোর কোনো প্রশ্নও আসবে না।
শর্তগুলো ফেসবুকে বিস্তারিত পড়তে এখানে ক্লিক করুন
জুনায়েদ আহমেদ: স্টাফ রিপোর্টার
ক্যাটাগরি: বিশেষ প্রতিবেদন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]