করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতেও হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাযার নামাজে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের আগমন ঘটে। সকাল থেকেই লকডাউন ও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেড়তলায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও ছাত্র, শিক্ষক, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষসহ সারাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামও আসতে থাকেন।
বরেণ্য মুফাসসির ও বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের নায়েবে আমির ও জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাযায় লকডাউন ভেঙ্গে লাখো মানুষের ঢল নামে। শনিবার (১৮ এপ্রিল) সকাল ১০ টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল জামিয়া রাহমানিয়া বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে তাঁর জানাযার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়। নামাজের ইমামতি করেন জুবায়ের আহমদ আনসারীর দ্বিতীয় ছেলে মাওলানা আসাদুল্লাহ গালিব। পরে বেড়তলা মাদরাসা প্রাঙ্গণে তাঁকে দাফন করা হয়।
এদিকে, করোনা ভাইরাসের কারণে লকডাউন পরিস্থিতিতেও হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর জানাযার নামাজে অর্ধলক্ষাধিক মানুষের আগমন ঘটে। সকাল থেকেই লকডাউন ও বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বেড়তলায় বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্মপ্রাণ মুসলমান ও ছাত্র, শিক্ষক, বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষসহ সারাদেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামও আসতে থাকেন। মাদরাসার মাঠ-বিল্ডিং, আশ-পাশের বিল্ডিং, সড়কেও পেরিয়ে যায়।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার (১৭ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৬টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার মার্কাজপাড়ার ‘আনসারী মঞ্জিলে’ হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারীর ইন্তেকাল করেন। দেশ-বিদেশে খ্যাতি সম্পন্ন ইসলামি বক্তা হাফেজ মাওলানা জুবায়ের আহমদ আনসারী দীর্ঘদিন থেকে দুরারোগ্য ব্যাধি ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। তিনি দেশ-বিদেশে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। চিকিৎসকদের পরামর্শ মতে তিনি মার্কাজপাড়ার ‘আনসারী মঞ্জিলে’ গত কয়েক মাস থেকে অবস্থান করছিলেন।
শেখ মো. ইব্রাহীম: সহ-সম্পাদক
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]