আওয়ামী লীগের ছায়াতলে বসে, ‘আম্মু’র আদরে তুলুতুলু হয়ে যারা সাহিত্য করছেন,লেখক মুশতাকের মৃত্যু শুধুমাত্র তার ‘বোকামি’র কারণেই হয়েছে এমন টা বিশ্বাস তাদের রয়েছে।
কারণ দেশের পরিস্থিতি ভাল না, এখন রয়ে সয়ে কথা বলতে হবে, উনারা কায়দা করে বেঁচে আছেন। মাঝে মাঝে লাথি খাচ্ছেন, পা চুলকে দিচ্ছেন, এভাবেই ফ্যাসিবাদের কুমিরকে খুশি রাখছেন।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা এমন যে এই আইনে অভিযুক্ত আসামীদের সাথে খুনের আসামীর মত আচরণ করা হয়।
এভাবেই কায়দা করে বেঁচে থাকতে হবে। এইসব কবি সাহিত্যিকদের কপালে আমি …। এই রাষ্ট্র প্রতিদিন খুন করছে, আইনের দোহাই দিয়ে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনার দোহাই দিয়ে। একজন বয়োঃবৃদ্ধ অসুস্থ লোককে শুধুমাত্র কথা বলার অপরাধে ১০ মাস জেলে পচিয়ে মেরে ফেলা হল।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটা এমন যে এই আইনে অভিযুক্ত আসামীদের সাথে খুনের আসামীর মত আচরণ করা হয়। অজামিনযোগ্য ফৌজদারী অপরাধের কাতারে ফেলা হয় ডিজিটাল ‘ক্রাইম’কে।
এটা ব্লাসফেমি। পরিপূর্ণ নৈরাজ্য এবং ক্ষমতার অপব্যবহার। এটা সরাসরি রাষ্ট্রীয় হত্যা।
ফাতেমা রিয়া: লেখক ও সম্পাদক
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]