সাংবাদিক শব্দটা ইতোমধ্যে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। অনেকের কাছেই সাংবাদিকতা- পেটের দায়েই পেশা । হলুদ সাংবাদিকতা কখনোই সাংবাদিকতা নয়। ‘হলুদ সাংবাদিকতা' শব্দটা আতঙ্কের। এ হলুদ সাংবাদিকতার অপর নাম অপসাংবাদিকতা। অনেকেই তাদের ‘সাংঘাতিক’ বলে ডাকে৷ সাংবাদিক পরিচয়ে লেখালেখির নামে তারা লিপ্ত রয়েছেন অনলাইন মাস্তানি, ব্যক্তিগত প্রতিশোধ পরায়ণতা, ধান্ধাবাজি অথবা চাঁদাবাজিতে।
ব্লগার মানে অনলাইন লেখক, সব ব্লগার নাস্তিক নয়। একটা সময় ছিল যখন বলা হত, ‘সংবাদপত্র’ অর্থ হলো- কাগজে ছাপানো পত্রিকা । বর্তমান সময়টা পরিবর্তনের । অনলাইন সংবাদ-মাধ্যমের জয়জয়কারে এরই মধ্যে কোণঠাসা ছাপানো সংবাদপত্রগুলো। ফেসবুক এখন ‘স্থানীয় ও নাগরিক সাংবাদিকতার’ এক শক্তিশালী বিকল্প মিডিয়া হিসেবে গড়ে উঠার চেষ্টা করছে। পাঠক ইতোমধ্যেই বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, সকল নিউজের উৎস যেন এ ফেসবুকই এবং ভবিষ্যতে সব সংবাদ ফেসবুকেই ‘পাওয়া যাবে’।
অনলাইনে নাগরিক সাংবাদিকতা করতে আসা ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকদের ‘ব্লগার’ বলা হয়। ফ্রিল্যান্স সাংবাদিকতা কোনো চাকরি নয়। এটি এক ধরনের ভালোলাগা, এক ধরনের তীব্র নেশা । এ নেশা ভালো কিছু করার। পৃথিবীর আর কোনো পেশাতেই এতো স্বাধীনতা এবং মানুষের জন্য কিছু করার এমন সুযোগ বর্তমানে নেই ।
সাংবাদিক শব্দটা ইতোমধ্যে নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। অনেকের কাছেই সাংবাদিকতা- পেটের দায়েই পেশা । হলুদ সাংবাদিকতা কখনোই সাংবাদিকতা নয়। ‘হলুদ সাংবাদিকতা’ শব্দটা আতঙ্কের। এ হলুদ সাংবাদিকতার অপর নাম অপসাংবাদিকতা। অনেকেই তাদের ‘সাংঘাতিক’ বলে ডাকে৷ সাংবাদিক পরিচয়ে লেখালেখির নামে তারা লিপ্ত রয়েছেন অনলাইন মাস্তানি, ব্যক্তিগত প্রতিশোধ পরায়ণতা, ধান্ধাবাজি অথবা চাঁদাবাজিতে। মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা, দখলবাজ, চাঁদাবাজ, পতিতালয়ের দালাল সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে বীরদর্পে মাঠ চষিয়ে ফায়দা হাসিল করে। সত্যকে গোপন করা প্রকৃত সাংবাদিকদের কাজ নয় । সাংবাদিকতা- কারো পক্ষাবলম্বন করে নিজেকে এবং নিজের লেখনীকে বিক্রী করে অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে অবৈধ অর্থ উপার্জনের জন্য নয়।
একজন লেখক-সাংবাদিক কোনো ব্যক্তি-গোষ্ঠী-দলের নন, তিনি সবার। মানুষ ভুলের উর্ধে্ব নয়। যে লেখনী মানুষকে ভুল ধরিয়ে দেয়, যে লেখনী জনস্বার্থ সম্পর্কিত, ছাপার যোগ্য; মানুষ, দেশ ও জাতীর কল্যাণ বয়ে আনে, এমন সংবাদ প্রকাশে অবিচল থাকতে হবে। অনুচিত হবে তথ্য গোপন করে উপস্থাপন করা।
সঠিক এবং সত্য লেখাও এক ধরনের যুদ্ধ। সাংবাদিক ব্যক্তিগত স্বার্থের কারণে তথ্য-প্রযুক্তির ন্যায্য অধিকার থেকে জনগণকে বঞ্চিত করতে পারেন না। জনগণের জানার অধিকার রয়েছে- এমন তথ্য জানানো গণমাধ্যমের অন্যতম দায়বদ্ধকতা। আসুন আমরা চোখের সামনে ঘটে যাওয়া সমাজের অনিয়ম অব্যবস্থাপনাকে সঠিক ভাবে তুলে ধরি। অনলাইন মিডিয়ার মাধ্যমে লেখার শিল্পমান ঠিক রেখে সত্য-নিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশ করি।
জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব: লেখক, সাংবাদিক
ক্যাটাগরি: পাঠকের মত, মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]