বাংলাদেশে প্রকাশ্যে দিবালকে খুন, চুরি ডাকাতি , ধর্ষণ, এ যের দিনদিন সাধারণ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে । প্রত্যেকদিন এসব ঘটনার ঘটার পেছনে মানুষ অনেকটা পুলিশকে দায়ি করেন বলে জানাযায় । তারা মনে করেন খুনিরা খুন করেও প্রকাশ্যে চলফেরা করেন তাও পুলিশ আসামীদের ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয় না । তারা আরো মনে করেন, আসামীদের সাথে পুলিশের অন্য কোনো সমপর্ক আছে কিনা তাও রহস্যময় ।
বাছিয়া পারভীন, আপাত দৃষ্টিতে একজন বৃদ্ধা। তার আরও একটি পরিচয় আছে । তিনি একজন সন্তানহারা মা। যার সন্তানকে চাঁদার দাবিতে চোখের সামনেই কুপিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। সন্তান হত্যার বিচার চেয়েও না পেয়ে আজ তিনি রাজপথে দাঁড়িয়েছেন।
তবে দীর্ঘ সময় পেরিয়ে গেলেও এবং আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও পুলিশ তাদের ধরছেনা বলে অভিযোগ রিমনের পরিবারের। তাই রিমন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। সোমবার সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব চত্বরে এ কর্মসূচি পালন করে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। একমাত্র ছেলে হত্যার বিচার দাবিতে বুকে পোস্টার জড়িয়ে বিলাপ করতে থাকেন মা ।
বাছিয়া পারভীন বলেন আমার ছেলে ৬ দিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ৮ জানুয়ারী ঢামেকের আইসিইউতে মারা যায় রিমন। এর মধ্যেই ৪ জানুয়ারী রিমনের মা বাদী হয়ে খেলুসহ ১০জনের নাম উল্লেখপূর্বক আসামী করে একটি মামলা দায়ের করে।
তিনি বলেন, আমার পুতেরে (ছেলেকে) আমার চোখের সামনেই কুপিয়ে কুপিয়ে মারলো সন্ত্রাসীরা। আমি আজ তার বিচার পাচ্ছি না। তারা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। আমাকে হুমকিও দিচ্ছে। আমার ঘরে আমি, আমার ছেলের বউ, আমার দুই মেয়ে। আমরা সবাই নারী। আপনারা আমাকে নিরাপত্তা দিন। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমরা ছেলে হত্যার বিচার চাই।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন জানান, রিমন হত্যা মামলার আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত আছে। প্রযুক্তির সহায়তায় খুব দ্রুতই আসামীরা আইনের আওতায় আসবে বলেও জানান তিনি।
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]