উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে শিশুটির পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলে দিতে হবে, যা তাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেবে
শিমরাইলকান্দির (ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর) মেহেদী হাসান নামে এক শিশু পায়ে সামান্য ব্যথা নিয়ে গত ২৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে (অর্থোপেডিক বিভাগ, নীচতলা, সিট নং-১৪) ভর্তি হয়েছিল। ডাঃ ফখরুল ইসলাম আশেক (সিনিয়র কনসাল্টেন্ট, অর্থোপেডিক) এর তত্ত্বাবধানে তার পায়ে পরপর দুটি অপারেশন করা হয়। কিন্তু দিন দিন তার পায়ের অবস্থার মারাত্মক অবনতি ঘটছে। শিশুটির মা-বাবাসহ দায়িত্বে থাকা ডাক্তারগণও এ নিয়ে এখন যথেষ্ট পেরেশান। তারা বারবার ছেলের মা-বাবাকে বলছেন রোগীকে ঢাকায় নিয়ে যেতে। তাদের পক্ষে কিছু করা সম্ভব নয়।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, উপযুক্ত চিকিৎসা না পেলে শিশুটির পা হাঁটু পর্যন্ত কেটে ফেলে দিতে হবে, যা তাকে সারাজীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দেবে।
এদিকে রোগীর পরিবার অতি-গরিব হওয়ায় ঢাকা নিয়ে যাওয়া তাদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না। রোগীর বাবার নাম শরীফুল ইসলাম। তিনি রাজমিস্ত্রির কাজ করেন, মা রীনা বেগম মানুষের বাড়িতে গৃহের কাজ করেন। শিমরাইলকান্দি মাজারের কাছে ইসলাম মিয়ার বাড়িতে তারা ভাড়া থাকেন। শিশুটির মা জানান, সমাজের অনেক বিত্তশালীর দ্বারস্থ হয়েছেন একটু সহযোগিতার আশায়, কিন্তু কারো কাছ থেকে উল্লেখযোগ্য কোনো সহযোগিতা পাননি।
উল্লেখ্য যে, মেহেদী হাসান পড়াশোনা করছে শিমরাইলকান্দি (দক্ষিণ) বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে। কিছুদিন আগে মাঠে খেলতে গিয়ে পায়ে সামান্য ব্যথা পায় যা সে পরিবারের কাউকে জানায়নি। পরে ব্যথা হলে তার মা তাকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া হাসপাতালে ভর্তি করান।
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া
[sharethis-inline-buttons]