কালের কণ্ঠের এই জঘন্যতা নিয়ে ফুঁসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। তারা পত্রিকাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বয়কট, কালের কণ্ঠের সম্পাদক, প্রকাশক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলাসহ একাধিক বিষয় নিয়ে ভাবছেন।
ফেসবুকে যে যা ইচ্ছে তাই লিখতে পারে ও লিখছে। এরপরও ‘যাচ্ছেতাই’ ও অধিকারবহির্ভূত লেখা নিয়ন্ত্রণ করতে সুনির্দিষ্ট আইন হয়েছে এবং দ্রুত এর প্রয়োগ হচ্ছে। তবে যারা দেশদ্রোহী, দেশ থেকে বিতাড়িত বা পলাতক, তাদের নাগাল হয়তো রাষ্ট্র পায় না বলে সেই আইন তাদের উপর প্রয়োগ করা অনেকক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। সে কারণে এরা ফেসবুকে যাচ্ছেতাই লিখতে পারে। লিখতে পারে নির্দিষ্ট কোনো ধর্ম, জাতি, অঞ্চল, ব্যক্তিত্ব নিয়ে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ ক্ষমার অযোগ্য লেখা। যা পৃথিবীর যে কোনো আইনেই ক্ষমার অযোগ্য অন্যায়। ন্যূনতম কোনো সভ্য ও শিক্ষিত ব্যক্তি এমন জঘন্য লেখা ও আচরণ সমর্থন করতে পারেন না। বিকল্প কোনো মাধ্যমে হুবহু শেয়ার বা প্রচার করতে পারেন না।
বাংলাদেশ থেকে বিতাড়িত লেখিকা তসলিমা ধর্ম নিয়ে প্রায়ই এমন জঘন্য ও কুরুচিপূর্ণ লেখা তার ফেসবুকে দেয়। যা শুধু ধর্মওয়ালারা ব্যতীত অন্যকেউ প্রতিবাদ করেন না। কিন্তু আজ সেই বিতাড়িত লেখিকা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীদের পঙ্গপালের সঙ্গে তুলনা করে একটা জঘন্য স্ট্যাটাস দেয়। আর এটা আরো জঘন্যতর শিরোনাম করে দৈনিক কালের কণ্ঠের অনলাইন প্রকাশ করে, বিতর্ক আরো উস্কে দিতে। এতে শুধু ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীই নয়, সারাদেশই যেন স্তব্ধ। এমন কড়াকড়ি আইসিটি আইন থাকতে কালের কণ্ঠ অমন দুঃসাহস করল কী করে?
সবার একটাই প্রশ্ন, কোনো জাতীয় পত্রিকা এ জাতীয় ব্যক্তিদের নোংরা, অম্লীল, অসভ্য ও জঘন্য লেখা বা উক্তি কীভাবে প্রকাশ করে? যদি করে তবে সেটা হবে আরো মারাত্মক অপরাধ এবং আইসিটি আইনে সম্পাদক ও প্রকাশকের বিরুদ্ধে মামলা হওয়াও সময়ের ব্যাপার। অবশ্য যদি তেমন যোগ্য ও সাহসী লোক বা আইনজীবী থাকেন।
এদিকে কালের কণ্ঠের এই জঘন্যতা নিয়ে ফুঁসছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাংবাদিক, লেখক, শিক্ষকসহ সর্বস্তরের মানুষ। তারা পত্রিকাটি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বয়কট, কালের কণ্ঠের সম্পাদক, প্রকাশক ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলাসহ একাধিক বিষয় নিয়ে ভাবছেন। তারা বলছেন, এটার ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিকে অব্যাহতি নিতে হবে। অন্যদিকে কালের কণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক প্রকাশ্যে ক্ষমা চাইতে হবে এবং লেখাটি ডিলিট করতে হবে। নইলে এর বিরুদ্ধে কঠোর আন্দোলন ও আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আবির হোসাইন জসিম : স্টাফ রিপোর্টার
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন
[sharethis-inline-buttons]