বুধবার দুপুর ১২:২১, ১১ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৫শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ব্রাহ্মণবাড়ীয়া প্রেসক্লাবে জামেয়ার নিউজ বর্জনের সিদ্ধান্ত হঠকারিতা ও বিস্ময়কর

দেশ দর্শন ডেস্ক

কেউ যদি সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করেই থাকেন, তাহলে প্রেসক্লাবের দায়িত্ব ছিলো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের অবহিত করা। এর সুষ্ঠু বিচার না পেলে তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিলে সেটা হতো যুক্তিযুক্ত। সাথে সাথে হেফাজতে ইসলাম এর সংবাদ বর্জন- এটাও প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ হেফাজতে ইসলাম সম্প্রতি কোনো কর্মসূচীই দেয়নি

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা শুধু বাংলাদেশে নয় বরং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার অন্যতম শীর্ষ দ্বীনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। বলতে গেলে গোটা বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসার নেতৃত্বের ভূমিকায় রয়েছে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা। যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছে প্রায় দুইশতাধিক মাদ্রাসা। এই প্রতিষ্ঠানের সকল সংবাদ বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্রাক্ষণবাড়ীয়া প্রেসক্লাব, যা শুধু হহটকারিতাই নয় বরং বিস্ময়কর।

এই প্রতিষ্ঠানের কেউ যদি সাংবাদিকদের সাথে অশোভন আচরণ করেই থাকেন, তাহলে প্রেসক্লাবের দায়িত্ব ছিলো প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বশীলদের অবহিত করা। এর সুষ্ঠু বিচার না পেলে তারা তাদের সিদ্ধান্ত নিলে সেটা হতো যুক্তিযুক্ত। সাথে সাথে হেফাজতে ইসলাম এর সংবাদ বর্জন- এটাও প্রশ্নবিদ্ধ। কারণ হেফাজতে ইসলাম সম্প্রতি কোনো কর্মসূচীই দেয়নি- যার দ্বারা সাংবাদিকদের সঙ্গে অশোভন আচরণ হবে। আবার সকল কওমী মাদ্রাসার সংবাদ বর্জন করার সিদ্ধান্ত! সকল কওমী মাদ্রাসা প্রেসক্লাবের সাথে কি এমন আচরণ করেছে যে তাদের বিরুদ্ধে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে? ঠুনকো বিষয়ে এত বড় একপেশে সিদ্ধান্ত যা বোধগম্য নয়। গ্রহণযোগ্য নয়ই।

সাংবাদিকদের সাথে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার আলেমসমাজের রয়েছে সৌহার্দ্যপূর্ণ আন্তরিকতার সম্পর্ক। এতো ঠুনকো বিষয়ে এতো বড় সিদ্ধান্ত কতিপয় ইসলামবিদ্ধেষী চেতনা লালনকারীরই বহিঃপ্রকাশ কিনা তাও এখন আলোচনার বিষয়। ইসলামের বার্তাবাহক শেষ নবীকে অস্বীকারকারী কাদিয়ানীদের বিরুদ্ধে যখন আন্দোলনে উত্তাল ব্রাহ্মণবাড়ীয়া, ঠিক তখনই প্রেসক্লাবের এমন সিদ্ধান্তকে কেউ কেউ দেখছে ভিন্ন চোখে। কাদিয়ানীদের সাথে কতিপয় সাংবাদিকদের সখ্যতা অথবা ইসলামবিদ্বেষী কিছু লোকের প্ররোচণায় হয়েছে কিনা, নাকি কাদিয়ানীদের অর্থ নিয়ে কেউ এমন করিয়েছে তা ও বিবেচনার দাবি রাখে।

ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার প্রেসক্লাবের সজ্জন ও সিনিয়র সাংবাদিকদের কাছে অনুরোধ, আগামী ৩০, ৩১ জানুয়ারি ও ১ ফেব্রুয়ারি জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার বার্ষিক ইসলামী মহাসম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। যেখানে দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরাম আসবেন।

তাই আমাদের মনে হয়, এর আগেই প্রেসক্লাব ও আলেম উলামাদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান করে নেওয়া মঙ্গলজনক। ভুল বোঝাবুঝির অবসানে আমরা প্রেসক্লাবকেই এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই। কারণ কোনো আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসা, হেফাজতে ইসলাম ও সকল কওমী মাদ্রাসার সংবাদ বর্জনের কর্মসূচী ঘোষণা দিয়েছে ব্রাক্ষণবাড়ীয়া প্রেসক্লাবই। যাদের সংবাদ বর্জন করা হয়েছে তাদের তো এগিয়ে আসার কোনো সুযোগ নেই।

বার্তা প্রেরক : মুফতী মোহাম্মদ এনামুল হাসান

প্রচার সচিব, হেফাজতে ইসলাম, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলা

 

ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply