আগ্রাবাদের এমন কোনো বাসা খুজে পাওয়া মুশকিল, যে বাসায় পানি উঠে না। হোক বিলাবহুল বাড়ী কিংবা টিনশেড বাসা। আগ্রাবাদের সিজিএর কলোনীতে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ঘরের নারী ও শিশুরা ব্যস্ত সময় পার করছে বাসায় ঢুকে যাওয়া পানি সরাতে সরাতে।
চট্রগ্রাম প্রতিনিধি :: হালকা বৃষ্টি হলেই সে বৃষ্টিতে ভাসমান থাকে এলাকাটি। হ্যাঁ, কথা বলছিলাম, বন্দরনগরী চট্টগ্রামের বানিজ্যিক এলাকা ‘আগ্রাবাদ’ নিয়ে। হালকা বৃষ্টি পড়লেই যেন নদীর সমান পানিতে পরিণত হয় আগ্রবাদসহ বিভিন্ন কলোনী। বৃষ্টির কারণে দুর্ভোগ পোহাতে হয় সর্বদা এলাকাবাসীর। বৃষ্টি! এ নামটিই যেন আগ্রাবাদবাসীর একটি ক্ষোভের নাম। ময়লা-আবর্জনা কিংবা নালা-নর্দমার ময়লা পানিও যুক্ত হয় সেই বৃষ্টির পানির সাথে। আর সেই পানি দুর্গন্ধ নিয়ে ছড়িয়ে পড়ে আগ্রাবাদসহ আশপাশের অলিগলিতে।
বিষয়টি এখানেই শেষ নয়। আগ্রাবাদের এমন কোনো বাসা খুজে পাওয়া মুশকিল, যে বাসায় পানি উঠে না। হোক বিলাবহুল বাড়ী কিংবা টিনশেড বাসা। আগ্রাবাদের সিজিএর কলোনীতে ঘুরে দেখা যায়, প্রায় ঘরের নারী ও শিশুরা ব্যস্ত সময় পার করছে বাসায় ঢুকে যাওয়া পানি সরাতে সরাতে। জসিম উদ্দীন নামের এক বাসিন্দা বলেন, “যদি কখনো কোনো কাজে ঘর থেকে বের হবার প্রস্তুতি নিই, তখনি বৃষ্টি এসে আমাদের দিনের সব কাজ-কর্ম মাটি করে দেয়।”
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কোনো গলিতে হাটু সমান পানি কিংবা কোনো গলিতে কোমর সমান পানি। প্রতিনিয়ত এই বেহাল অবস্হা আর দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে স্কুল শিক্ষার্থী এবং চাকরিজীবিদেরও। এই সময়ে তাদের একমাত্র ভরসা রিকশা বা সিএনজি। আগ্রাবাদ বেপারী কলোনির এক বাসিন্দা বলেন “একটুখানি বৃষ্টি হলেই আমগোর খাটের তলে পর্যন্ত পানি আইস্যা যায়।” ইফফাত সায়েদ নামের এক তরুণীজানান, ছোট-বড় স্কুলগুলোর ছাত্ররা ঠিকমতো স্কুলে যেতে পারে না। হয় স্কুলের ক্লাসে পানি, না হয় স্কুলের বাইরে বুক পরিমাণ পানি। সে পানি সরে যেতে ৬-৭ ঘণ্টা লাগে। এক্ষেত্রে অভিভাবকদেরও দুর্ভোগের শেষ নেয়।”
এ ব্যাপারে বিশিষ্টজনেরা মনে করছেন, বৃষ্টির পানির সাথে যুক্ত ড্রেনের পানি থেকে অনেক ধরনের রোগ ছড়াচ্ছে। পরিশেষে সবারই একটি প্রশ্ন, কবে শেষ হবে তাদের এই ভোগান্তির দিনগুলো?
ক্যাটাগরি: সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]