শুক্রবার বিকাল ৩:৫৯, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৭শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

বাংলাদেশে মানুষের গড় আয়ু কমেছে বিশ বছর

মন্তব্যেদন

বাংলাদেশে এখন এমন কোনো এলাকা বলতে গেলে নেই, যেখানে প্রতিদিন দুয়েকজন মধ্যবয়সী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ মারা যাচ্ছে না। তবুও বিভিন্ন জরিপ ও তথ্য-উপাত্ত কেন ভিন্ন কথা বলে? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত দেশি-বিদেশি সংস্থা কখনো সত্য এবং নিরপেক্ষ তথ্য-উপাত্ত পেশ করার সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা রাখে না।

দেশ দর্শন প্রতিবেদক : খাদ্যে ভেজাল, বায়ুদুষণ, প্রাকৃতিক বিভিন্ন দুর্যোগ এবং কৃত্রিম পরিবেশ, সড়ক দুর্ঘটনা ও অন্যান্য অব্যবস্থাপনার কারণে গত ত্রিশ বছরে বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমেছে প্রায় বিশ বছর। এছাড়া মাদকাসক্তি, ভুল চিকিৎসার শিকার, হত্যা, আত্মহত্যা ইত্যাদিও সরাসরি প্রভাব ফেলছে মানুষের গড় আয়ুতে।

রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ফরমায়েশি জরিপ ও ভুল তথ্য-উপাত্তে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিভিন্নভাবে দেখানো হয় বাংলাদেশে গড় আয়ু বেড়েছে দশ বছর। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশ দর্শনের নিজস্ব জরিপ ও পর্যবেক্ষণেও বেরিয়ে আসে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য। তাছাড়া সরকারি, সরকারি তাবেদারি ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিদেশি এনজিও এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কথিত জরিপ থেকে কিছুক্ষণের জন্য মুখ ফিরিয়ে খোলাচোখে সারাদেশে একবার তাকালেও বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যায়।

দেখা যায়, দেশে এখন জনসংখ্যার প্রধান অংশ শিশু এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছেলে-মেয়ে। আর সবচেয়ে কম বয়স্ক নারী-পুরুষ। তবে অক্ষম নারী-পুরুষের সংখ্যা আগের তুলনায় বেড়েছে, কমেনি। এই অক্ষমরা বয়স্ক নয়, বরং মধ্যবয়সী। শেষ বয়সে যেতে পারে- এমন মানুষ বাংলাদেশে দ্রুত কমছে। বরং তার আগেই টপাটপ স্ট্রোক, হার্ট এ্যাটাক, রোড এক্সিডেন্ট, আত্মহত্যা ইত্যাদিতে মধ্যবয়সেই ঝরে যাচ্ছে চেনা-পরিচিত মানুষগুলো।

রাষ্ট্রীয় বিভিন্ন ফরমায়েশি জরিপ ও ভুল তথ্য-উপাত্তে ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে বিভিন্নভাবে দেখানো হয় বাংলাদেশে গড় আয়ু বেড়েছে দশ বছর। অথচ বাস্তব পরিস্থিতি সম্পূর্ণ ভিন্ন। দেশ দর্শনের নিজস্ব জরিপ ও পর্যবেক্ষণেও বেরিয়ে আসে সম্পূর্ণ ভিন্ন তথ্য। তাছাড়া সরকারি, সরকারি তাবেদারি ও স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিদেশি এনজিও এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোর কথিত জরিপ থেকে কিছুক্ষণের জন্য মুখ ফিরিয়ে খোলাচোখে সারাদেশে একবার তাকালেও বিষয়টি সম্পূর্ণ পরিষ্কার হয়ে যায়।

বাংলাদেশে এখন এমন কোনো এলাকা বলতে গেলে নেই, যেখানে প্রতিদিন দুয়েকজন মধ্যবয়সী ও অপ্রাপ্ত বয়স্ক মানুষ মারা যাচ্ছে না। তবুও বিভিন্ন জরিপ ও তথ্য-উপাত্ত কেন ভিন্ন কথা বলে? এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অনেক বিশেষজ্ঞ বলেন, বিদেশি অর্থায়নে পরিচালিত দেশি-বিদেশি সংস্থা কখনো সত্য এবং নিরপেক্ষ তথ্য-উপাত্ত পেশ করার সক্ষমতা এবং আন্তরিকতা রাখে না। বরং এসব ক্ষেত্রে বিভিন্ন জরিপ, নথিপত্র ও রিপোর্টিং এর চেয়ে খালি চোখে বাস্তব পরিস্থিতিটাই বেশি ধরা পড়ে।

তারা বলছেন, আমরা দেখছি বিজ্ঞানের আবিষ্কার এবং এর অপব্যবহার ও অপপ্রয়োগ মানুষের রাতের স্বাভাবিক ঘুম কেড়ে নিয়েছে। জলবায়ুতে বিরূপ প্রভাব ফেলছে। পরিবেশ দুষণ করছে। শারীরিক পরিশ্রম কমিয়ে দিয়েছে। খাদ্যে ভেজাল বাড়িয়েছে। তৃতীয় বিশ্বের কোনো রাষ্ট্রের পক্ষে এসব বিচ্ছিন্নভাবে ঠেকানো খুবই কঠিন। তার উপর রাজনৈতিক দলগুলো যেমন ক্ষমতার চিন্তায় ব্যস্ত, ধর্মীয়, সামাজিক ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও তেমনি অর্থচিন্তায় মগ্ন। এসব নিয়ে সত্যিকার অর্থে কাজ করার কেউ নেই।

ক্যাটাগরি: সারাদেশ

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply