শনিবার বিকাল ৫:৫৪, ৭ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২১শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

বদলে যাচ্ছে ফেইসবুকের নাম

নাম পরিবর্তনের পরিকল্পনা করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো অন্যতম ফেসবুক। ফেসবুকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ আগামী ২৮ অক্টোবরে বার্ষিক সম্মেলনে এ বিষয়ে কথা বলতে পারেন বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দ্য ভার্জ।

এদিকে গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পর বিশ্বজুড়ে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটির ব্যবহারকারীরা। এ নিয়ে অনেকে স্ট্যাটাস দিচ্ছেন। হঠাৎ কী এমন হলো যে ফেসবুক নামটি বদলে ফেলতে হবে? অনেকের ধারণা বিষয়টি গুজব বা ভুয়া খবরও হতে পারে।

ফেসবুকেই আসছে ফেসবুক নাম বদলানোর মিথ্যা খবর? কিন্তু না, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এই প্রশ্নের জবাবে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, ‘উড়ো খবর নিয়ে মন্তব্য করে না ফেসবুক। উড়ো খবরটি একদম উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই।’

তার মানে ফেসবুক সত্যি সত্যি তার নাম পরিবর্তন করতে চাইছে এবং এ বিষয়ে অনেক দূর এগিয়েও গেছে। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায় ফেসবুক কেন নাম বদলাতে চাইবে? সে প্রশ্নের উত্তরে শোনা যাচ্ছে , দুর্নাম ঘোঁচাতে নাম বদলে দিতে চাইছে ফেসবুক। প্রতিষ্ঠানটির সাবেক কর্মী ফ্রান্সেস হাউগেনের বক্তব্যে এমনটাই বোঝা যাচ্ছে।

প্রভাবশালী মার্কিন দৈনিক দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের বরাত দিয়ে দ্য গার্ডিয়ান বলছে, সংবাদমাধ্যমে ফেসবুকের অভ্যন্তরীণ অনেক তথ্য ফাঁস করেছেন ফ্রান্সেস হাউগেনে। মার্কিন কংগ্রেসে তিনি বলেছেন, ফেসবুক সব সময় মানুষের ভালোর চেয়ে মুনাফায় গুরুত্ব দিয়েছে, শিশু-কিশোরদের ক্ষতি করছে জেনেও ব্যবস্থা নেয়নি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছে।

এ মাসের শুরুর দিকে ফেসবুকের ভুলে মূল সেবাগুলো প্রায় ছয় ঘণ্টার জন্য বন্ধ হয়ে যায়। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির অভ্যন্তরীণ যোগাযোগব্যবস্থাও অচল হয়ে পড়ে। সে সময় হাউগেন কংগ্রেসকে বলেছিলেন, ‘পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিভেদ তৈরিতে, গণতন্ত্রের বিনাশ এবং নারীদের তাদের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরিতে ব্যবহার হয়নি ফেসবুক।

ফেসবুক আশা করছে, নতুন নাম নিয়ে তারা পুরোনো দুর্নাম পেছনে ফেলতে পারবে। অবশ্য এ নাম বদল নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে দ্য ভার্জ।

সেখানে মেটাভার্সের কথা বলা হয়েছে। যার মাধ্যমে ফেসবুকের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম সেবা তখন ভার্চ্যুয়াল জগতে পাওয়া যাবে।  যে জগতে ব্যবহারকারীরা যুক্ত হয়ে বাস্তব দুনিয়ার মতো একে অপরের সঙ্গে কথোপকথন চালাতে পারবেন, একসঙ্গে কিছু কিছু কাজও হয়তো করতে পারবেন। ভার্চ্যুয়াল আর বাস্তব জগতের বিভেদ কমে যাবে বলা হচ্ছে। যা অগমেন্টেড এবং ভার্চ্যুয়াল রিয়েলিটি প্রযুক্তির সাহায্যে সম্ভব হবে।

মেটাভার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনর্গঠন ফেসবুকের নাম বদলের একটি কারণ হতে পারে।

ক্যাটাগরি: শীর্ষ তিন,  সারাদেশ

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply