শনিবার দুপুর ১:১৭, ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

পত্রিকায়ও পড়েছে করোনার প্রভাব: কমে গেছে বিক্রি

জুনায়েদ আহমেদ

প্রিন্ট পত্রিকার মাধ্যমেও করোনা ছড়াতে পারে। কারণ এর প্রিন্ট থেকে শুরু করে গ্রাহকের হাতে পৌঁছা পর্যন্ত ছাপাখানার কর্মচারি, পত্রিকা বহনকারী ও হকারসহ অনেকেরই হাতের স্পর্শ লাগে। তাই অনেক পুরনো গ্রাহকই এখন দৈনিক পত্রিকা হাতে নিচ্ছেন না।

প্রাণঘাতি করোনার প্রভাব বাংলাদেশের সব জেলায়ই ধীরে ধীরে পড়তে শুরু করেছে। রাস্তাঘাট, দোকানপাট, হাটবাজার, রেল, বাস স্টেশনসহ সব জায়গায় মানুষের ভিড়ভাট্টা আগের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। সেই প্রভাব পড়তে শুরু করেছে দৈনিক পত্রিকার উপরও। মানুষের আনাগোনা কমে যাওয়ায় কমে গেছে বিক্রি।

আজ সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের একটি পত্রিকা স্টলে গিয়ে দেখা যায়, বিক্রেতা করোনা ভাইরাস থেকে বাঁচতে সতর্কাতা স্বরূপ হাতে গ্লাভস, মুখে মাস্ক পড়ে বসে আছেন। অন্যান্য দিনের মত নেই তেমন ভিড়। পত্রিকা বিক্রি কমে গেছে কি না-জিজ্ঞেস করতেই হতাশার সুরে বললেন, “দেখেন না, লোকজনই নাই। তাই বিক্রিও কমে গেছে। আজকেই  এই অবস্থা, আগামীকাল তো অবস্থা আরো খারাপ অইবো।”

এই বিক্রেতার সাথে কথা বলা শেষ না হতেই আরেকজন হকার আসলেন। তিনি প্রতিদিন সকালে বাসায় বাসায় পত্রিকা দেন। তিনিও জানালেন, গ্রাহকরা পত্রিকা দিতে না করছেন। তিনি আরো বলেন, তারা না করে দিলে আমরা আর  পত্রিকা নিয়া কী করবো? আমরাও পত্রিকা নেওয়া বন্ধ কইরা দিমু। এ সময় পাশে থেকে একজন পাঠক অনেকটা জোরগলায় বলে উঠেন, না, পত্রিকা বিক্রি বন্ধ হবে না। যাই হোক, পত্রিকা চলবেই।

এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, প্রিন্ট পত্রিকার মাধ্যমেও করোনা ছড়াতে পারে। কারণ এর প্রিন্ট থেকে শুরু করে গ্রাহকের হাতে পৌঁছা পর্যন্ত ছাপাখানার কর্মচারি, পত্রিকা বহনকারী ও হকারসহ অনেকেরই হাতের স্পর্শ লাগে। তাই অনেক পুরনো গ্রাহকই এখন দৈনিক পত্রিকা হাতে নিচ্ছেন না।

জুনায়েদ আহমেদ : স্টাফ রিপোর্টার

 

 

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  শীর্ষ তিন,  সারাদেশ

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply