আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং দলীয় বিভক্তির কারণে নাসিরনগরের সাধারণ জনগণ বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী একরামুজ্জামান সুখনকেই ভোট যুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে এগিয়ে রাখছেন। সরেজমিন গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, নাসিরনগরেরর সাধারণ জনগণ উন্নয়নের কথা চিন্তা করলে অবশ্যই সংগ্রাম ভাইকে সকলেই ভোট দিবেন এবং বিপুল ভোটে নৌকা জয়ী হবে।
সায়মন ওবায়েদ শাকিল : নাসির নগর থেকে
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ নাসিরনগরে জমজমাট ও নির্বাচনী আমেজে মহোজট প্রার্থী ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীরা নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছেন। মহাজোট নৌকা সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান সংসদ বদরোজ্জা মো: ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম নাসিরনগরের উন্নয়নের নানা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। অন্যদিকে বিএনপির চেয়ারপার্সনেরর উপদেষ্টা হেভিওয়েট প্রার্থী এস.একে. একরামুজ্জামান সুখন হামলা, মামলা নেতাকর্মীদের হয়রানিসহ নানান অভিযোগ তোলছেন।
আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক দুর্বলতা এবং দলীয় বিভক্তির কারণে নাসিরনগরের সাধারণ জনগণ বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী একরামুজ্জামান সুখনকেই ভোট যুদ্ধে জয়ের ব্যাপারে এগিয়ে রাখছেন। সরেজমিন গিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, নাসিরনগরেরর সাধারণ জনগণ উন্নয়নের কথা চিন্তা করলে অবশ্যই সংগ্রাম ভাইকে সকলেই ভোট দিবেন এবং বিপুল ভোটে নৌকা জয়ী হবে। অন্যদিকে বিএনপির সমর্থিতরা বলেন, এবার ধানের শীষের জোয়ার উঠেছে। এই জোয়ার কেউ আটকাতে পারবে না। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে অবশ্যই সুখন ভাই ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে জয়ী হবে।
তবে বলে রাখা উচিত, এই আসনে নারী-পুরুষ মিলিয়ে দুই লাখ ১৩ হাজার ৯৭৪ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে হিন্দু ভোটার রয়েছেন প্রায় ৪০ থেকে ৪৪ হাজারের মতো। এই ভোটগুলো আওয়ামীলীগ এর ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত এবং বরাবরই ভোটগুলো সাবেক মন্ত্রী মরহুম এড. ছায়েদুল হুক পেয়ে আসতেন এবং এই আসন থেকে তিনি পাঁচ পাঁচ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এসেছেন। সংসদীয় আসন ২৪৩ ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসন মোট ছয়জন প্রার্থী নির্বাচন করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রামকে নৌকা, বিএনপির এস একে একরামুজ্জামান সুখন ধানের শীষ, ইসলামী ফ্রন্টের ইসলাম উদ্দিনকে মোমবাতি, বাংলাদেশ জাতীয়পার্টি (বিজেপি) ফায়জুল হক গরুর গাড়ি, ইসলামী ঐক্যজোটের আবুল কাসেম মোঃ আশরাফুল হক মিনার এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের হোসাইন আহমেদ হাতপাখা প্রতীক নিয়ে তারা নির্বাচন করছে।
তবে ছয়জন প্রার্থীর মধ্যে নৌকা এবং ধানের শীষের প্রার্থীদের মধ্যেই চূড়ান্ত লড়াই হবে বলে সকলের ধারণা। এখন পর্যন্ত ছোট ছোট বিশৃঙ্খল ঘটনা ছাড়া ইতিমধ্যেই দুই দলের প্রার্থীর ইউনিয়নভিওিক জনসভা করে আসছেন। এই জনসভাগুলো জনসমুদ্রে রুপান্তরিত করতে দুই দলের প্রার্থীরাই মাথার ঘাম পায়ে ফেলছে এবং উন্নয়নের নানান প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে।
তবে ব্যাতিক্রম ঘটেছে ধরমণ্ডল ইউনিয়নে একরামুজ্জামান সুখনের জন সমাবেশে। দেখা গেছে ধানের শীষ সমর্থিতরা অনেকেই কাফনের কাপড় পরে তারা জনসভায় উপস্থিত হয়েছেন এবং তাদের প্রত্যেকের মুখে একটাই কথা, মইরা যামু তবুও কেন্দ্র ছাড়ুম না। গ্রামের হাট-বাজার, দোকানপাট, চায়ের স্টল সব জায়গাতেই এখন নির্বাচনী উত্তাপ ভইছে।তবে এলাকায় সরেজমিনে ঘুরে দেখেছি, অনেকের মধ্যেই সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। এখন এলাকার মানুষের একটাই প্রত্যাশা যেনো নির্বাচন সুষ্ঠু হয় এবং তারা যেনো নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারেন তাদের পছন্দের প্রার্থীকে।
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া
[sharethis-inline-buttons]