তারা মনে করে, জীবনের কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নেই। এটা অন্য কেউ অর্জন করলেই হবে। অথচ সৃষ্টিগতভাবে মানুষ অন্য প্রাণী থেকে আলাদা হওয়ার মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হলো, মানুষ লক্ষ্য স্থির করে সে অনুপাতে নিজের মস্তিষ্ককে কাজে লাগাতে পারে। তাহলে ‘পরনির্ভর চেতনা’ দ্বারা নারী কী করে মানুষের কাতারে দাঁড়াবে?
বর্তমান সমাজে একজন পুরুষের কাছে কোনো না কোনোভাবে মানবতাবাদী ও জ্ঞানগত বা চিন্তাগত শিক্ষা পৌঁছে। কিন্তু অধিকাংশ নারীর কাছে তা এমন অস্পষ্ট, যেন পৃথিবীতে বসবাসের প্রেক্ষাপটে মানুষ হিসেবে এ সমাজে তাদের কোনো অংশ নেই।
তারা আলাদা জগৎ নিয়ে পড়ে থাকে। যেখানে সাধারণত কারো যৌন চাহিদা পূরণ করে নিজেকে গুটিয়ে কুচক্রী মানসিকতায় জড়িয়ে নিজের অহংকার, হিংসা, পরনিন্দা, বিলাসিতা, একচ্ছত্র অধিকার আদায়ে সর্বদাই সচেষ্ট থেকে নিজের স্বভাবগত চরিত্রকে প্রতিষ্ঠায় সর্বদা মানসিকতাকে ব্যস্ত রাখে। আর অবসরে বিশ্রাম, মানে নিভৃতে ঘুমের ঘোরে কাটানো।
তারা মনে করে, জীবনের কোনো লক্ষ্য বা উদ্দেশ্য নেই। এটা অন্য কেউ অর্জন করলেই হবে। অথচ সৃষ্টিগতভাবে মানুষ অন্য প্রাণী থেকে আলাদা হওয়ার মূল বৈশিষ্ট্যগুলোর একটি হলো, মানুষ লক্ষ্য স্থির করে সে অনুপাতে নিজের মস্তিষ্ককে কাজে লাগাতে পারে। ‘পরনির্ভর চিন্তা-চেতনা’ দ্বারা নারী কী করে মানুষের কাতারে দাঁড়াবে?
সৃষ্টিগতভাবে মানুষ শান্তি চায়। সবাই শান্তি চায়। কিন্তু শান্তিকে পেতে চায় অসাধুভাবে এবং ভুল পদ্ধতিতে। এ যেন যোগের সাথে বিয়োগফল। অদ্ভুত! এটা যেভাবে অসম্ভব, সেভাবেই উপরোল্লিখিত বিষয়গুলোকে সাথে রেখে নির্দিষ্ট লক্ষ্য বা সীমাহীন শান্তি অর্জন সম্ভব নয়।
লক্ষ্য স্থির করে সে পথে না হেঁটে উল্টো হাঁটলে পথ হারিয়ে অন্ধকার, কুৎসিত ও কষ্টদায়ক পরিস্থিতি মুখে পড়তে হবে। সুতরাং সীমাহীন শান্তি প্রাপ্তিকে লক্ষ্য রেখে সকলকে চিন্তা করতে হবে। যে চিন্তা মানুষকে জ্ঞানের শরণাপন্ন করে। আর পবিত্র জ্ঞান এমন এক জ্যোতি, যা একজন নারী বা পুরুষকে উজ্জ্বল নক্ষত্র বা সমাজে অনুকরণীয় আদর্শ হিসেবে প্রতিষ্ঠায় যথেষ্ট।
সরকার জুম্মান : যাত্রাবাড়ি, ঢাকা