শনিবার সকাল ৮:৫৩, ১৪ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৮শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

নতুন পেঁয়াজ আসার পরও বাড়ছে ক্রেতাদের ভোগান্তি

আবির হোসাইন জসিম

প্রতিদিনই বাজারে আসছে নতুন পেঁয়াজ। বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করে বাজারে ছাড়া হয়েছে নিত্যদিনের এ পণ্যটি। সেই সঙ্গে অব্যাহত আছে সরকারের ন্যায্যমূল্যে বিক্রি। এত কিছুর পরও দাম কমার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। এদিকে পেঁয়াজের দাম কমাতে রাজধানীর ৫০টি স্থানে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) খোলা ট্রাকে ৪৫ টাকা কেজি দরে পণ্যটি বিক্রি করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ সরকারের বিভিন্ন অধিদফতর বাজার মনিটরিং অব্যাহত রেখেছে।

কারওয়ান বাজার, নয়াবাজার ও রামপুরা কাঁচাবাজারের বিক্রেতারা জানিয়েছেন, এক সপ্তাহ ধরে দেশি পেঁয়াজ একই দামে (২৩০-২৪০ টাকা) বিক্রি হচ্ছে। এদিন মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২০০-২১০ টাকা। মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকা।

নয়াবাজারে পেঁয়াজ কিনতে আসা মো. খলিল বলেন, পেঁয়াজের দাম কবে কমবে? এই উত্তর কে দেবে? এখনও পণ্যটি কিনতে বেসামাল হয়ে পড়তে হচ্ছে। দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা কমানোর পরও পণ্যটির দাম কমছে না। প্রথমদিকে সরকারের বাজার মনিটরিং সংস্থাগুলো তোড়জোড় দেখালেও এখন নেই। বিক্রেতারা যার যা ইচ্ছা মতো বিক্রি করছে। দেখার যেন কেউ নেই।

এদিন রাজধানীর পাইকারি আড়ত শ্যামবাজার ও কারওয়ান বাজারের বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সেখানে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ২৩০ টাকা, যা একদিন আগে বিক্রি হয়েছে ২২০ টাকা। কেজিতে বেড়েছে ১০ টাকা। এছাড়া মিয়ানমার ও পাকিস্তান থেকে আমদানি করা পেঁয়াজ ১৭০-১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। মিসরের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকা।

গত সোমবার কার্যালয় চত্বরে খোলা ট্রাকে এ পেঁয়াজ বিক্রির উদ্বোধন করেন। প্রতিদিন এক টন পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। আর একজন ভোক্তা এক কেজি করে পেঁয়াজ কিনতে পারবেন। তবে পেঁয়াজ ক্রেতাদের সামলাতে জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারী, পুলিশ ও টিসিবির লোকজনকে হিমশিম খেতে হয়েছে। তবে ক্রেতারা ঘন্টার পর ঘন্টা লাইরে দাড়িয়ে  হুড়াহুড়ি করে পেঁয়াজ কেনার পর ও পঁচা পেঁয়াজ পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

আবির হোসাইন জসিম : স্টাফ রিপোর্টার

ক্যাটাগরি: শীর্ষ তিন,  সারাদেশ

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply