মানুষের ধর্ম হলো মানুষের অভ্যন্তরস্থ মানবীয় গুণাবলীর বিকাশ। যা মানুষের স্বকীয়তা বজায় রাখে, মানবতা জাগ্রত করতে সহায়তা করে তাই মানুষের ধর্ম। সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি, দয়া, মায়া, ভালোবাসা, মনুষ্যত্ব, মানবতা, সৌহার্দ্য, বিবেক, সহমর্মিতা, ঐক্য, শৃঙ্খলা ইত্যাদি মানবীয় গুণাবলী হলো মানুষের ধর্ম।
মানুষ তার প্রয়োজনে সব পারে, সব করে। আর ধর্মকে ব্যবহার করে তার সুবিধামতো। আপনি নাস্তিক না আস্তিক বা অন্য ধর্মাবলম্বী যেই হোন, নিজের কাজ করুন। অন্য ধর্মের মানুষককে আঘাত দিয়ে যে সুখ আপনি পান তা বিকৃত।
ধর্মের মূল লক্ষ্যই হলো মানবতার কল্যাণ, সমগ্র সৃষ্টির কল্যাণ, বিশ্বসংসারের কল্যাণ। আগুনের ধর্ম পোড়ানো, উত্তাপ দেওয়া, আলো দেওয়া। আগুনের এই গুণ সনাতন, শাশ্বত। লক্ষ বছর আগেও আগুন পোড়াতো, লক্ষ বছর পরও পোড়াবে। এটাই তার ধর্ম।
মানুষের ধর্ম হলো মানুষের অভ্যন্তরস্থ মানবীয় গুণাবলীর বিকাশ। যা মানুষের স্বকীয়তা বজায় রাখে, মানবতা জাগ্রত করতে সহায়তা করে তাই মানুষের ধর্ম। সৃষ্টির প্রতি সহানুভূতি, দয়া, মায়া, ভালোবাসা, মনুষ্যত্ব, মানবতা, সৌহার্দ্য, বিবেক, সহমর্মিতা, ঐক্য, শৃঙ্খলা ইত্যাদি মানবীয় গুণাবলী হলো মানুষের ধর্ম। এই বৈশিষ্ট্যগুলো যখন হারিয়ে যায় তখন তার কোনো ধর্ম থাকে না। সে তখন ধর্মহীন হয়ে যায়। তার মধ্যে মনুষ্যত্ব থাকে না, পশুতে পরিণত হয়।
মানব জীবন সত্য, ন্যায়, সুবিচার এক কথায় চূড়ান্ত শান্তি বিরাজ করবে এমন জীবনব্যবস্থার নাম ইসলাম ধর্ম। আর এই কারণে ইসলাম শব্দের অর্থই শান্তি। ধর্মের একটা সৌন্দর্য রয়েছে ক্ষমায়, ঔদার্যে, মহানুভবতায়, আত্ম উন্নয়নে ও ব্যক্তি জীবনের সাধনা একাগ্রতার পরিসরে । যতক্ষণ একজন মানুষ অন্যের ব্যথায় ব্যথিত হয়, অন্যের দুঃখে দুঃখী হয়, অন্যের আনন্দে আনন্দিত হয়, অপরকে সহযোগিতা করে, আর্তপীড়িতের পাশে দাঁড়ায়, ততক্ষণ সে ব্যক্তি ধার্মিক হিসেবেই পরিগণিত হবার যোগ্য।
অন্যদিকে এই পরিমণ্ডল ভেদ করে সে যখন রাজনীতি আর ব্যবসার উপকরণ হিসাবে ব্যবহৃত হতে থাকে, তখন সে আর ধর্ম থাকে না, হয়ে যায় অধর্ম আর নোংরামী। দেশ, সমাজ, পরিবারের বারোটা বাজার ঘণ্টা বাজতে থাকে প্রচণ্ড শব্দে। কাজেই প্রকৃত ধর্ম বুঝে ধার্মিক হোন।
জাহাঙ্গীর আলম বিপ্লব: লেখক, সাংবাদিক
ক্যাটাগরি: পাঠকের মত, মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]