আমি যেমন মঈনুলের মতো ইংরেজি শিক্ষিত স্যুটেড-বুটেড কথিত ভদ্দর লোককে সাপোর্ট করতে পারি না, ঠিক তেমনি ভাট্টিকেও না, তসলিমাকেও না। আমাদের দেশে প্রচুর আবর্জনা আছে, যারা নিজেরা চরিত্রহীন হওয়ায় একটা চরিত্রহীনকে ঘায়েল করতে আরেকটা চরিত্রহীনের দ্বারস্থ হয়।
তসলিমার সঙ্গে ভাট্টির অনেক আগে থেকেই ব্যক্তিগত ও হিংসাত্মক একটা দ্বন্দ্ব আছে। কিছুটা মতবাদগতও। তাছাড়া ‘দুই সতীন’ টাইপের একটা ব্যাপারও এখানে কাজ করে। কারণ বাংলাদেশের অনেকগুলো পর্নো দৈনিকের জনক মিস্টার নাঈমুল ইসলাম খান। তিনি তসলিমার দ্বিতীয় সোয়ামী। আবার তার সঙ্গে মাসুদা ভাট্টিরও ইটিশ-পিটিশ আছে বলে শোনা যায়। এদিক থেকে দুই সতীনের ফাইটটা দিন দিন জমে উঠতেই পারে, তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
তাই তসলিমা ভাট্টিকে যতই গালমন্দ করুক, তাতে সমর্থন দেবার কিছু নেই। কারণ দিনশেষে এরা একই খোয়ারে ঢুকে। অন্যদিকে ভাট্টির বিরুদ্ধে তসলিমার উগ্রে দেওয়া বাৎচিত থেকেও খুব সহজেই তসলিমার চরিত্রও নির্ধারণ করা যায়। তসলিমা যদি সতী হতো, সত্যবাদী হতো, তবে ব্যক্তিগত ঘটনা বা সহযোগিতার খোটা না দিয়ে চিন্তাগত দিক থেকে ভাট্টির সমালোচনা করতো। আবার ভাট্টিও পর্নো শব্দ ব্যবহার না করে এবং তসলিমাকে ব্যক্তিগত আক্রমণ না করে চিন্তাগত দিকটাই তুলে ধরতো। অবশ্য এদের ‘চিন্তা’ আছেইবা কী, আর বলবেইবা কী? কেবল নারী-পুরুষের কিছু অশ্লীল চর্বিত চর্বনই এদের একমাত্র সম্বল। তাছাড়া এসব চরিত্রহীনদের আরেকটি সমস্যা, এরা ব্যক্তিগতভাবে খোটা ও গালাগাল দিয়ে পরস্পরকে ঘায়েল করতে চেষ্টা করে, ঠিক “এক খদ্দের নিয়ে দুই পতিতার লড়াই”এর মতো।
আমি যেমন মঈনুলের মতো ইংরেজি শিক্ষিত স্যুটেড-বুটেড কথিত ভদ্দর লোককে সাপোর্ট করতে পারি না, ঠিক তেমনি ভাট্টিকেও না, তসলিমাকেও না। আমাদের দেশে প্রচুর আবর্জনা আছে, যারা নিজেরা চরিত্রহীন হওয়ায় একটা চরিত্রহীনকে ঘায়েল করতে আরেকটা চরিত্রহীনের দ্বারস্থ হয়। অথচ উপরোক্ত তিনটাই চরিত্রহীন। সেটা জোরালো করার জন্য অন্যকোনো চরিত্রহীনের বক্তব্য সমর্থন করার কোনোই প্রয়োজন নেই। নিজে সৎ হলে, সাহসী হলে, ইচ্ছাকৃতভাবে সুবিধাবঞ্চিত জনগণের কাতারে থেকে লিখতে ও বলতে পারলে একাই একশো।
ক্যাটাগরি: পাঠকের মত, মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]