শুক্রবার ভোর ৫:৪৭, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং

ঠিকাদারকে মারধর ও চাঁদা চাওয়ার প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মানববন্ধন

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিবেদক

আশুগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা করা হয়।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঠিকাদার লোকমানের কাছে চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনার প্রতিবাদ এবং বিচারের দাবিতে আশুগঞ্জের সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এসোসিয়েশনের উদ্যোগে এক মানবন্ধন  অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকাল সাড়ে দশটার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মেম্বার, চেয়ারম্যান সর্বোচ্চ ফাইভ–সিক্স পাশ। আর একেকজন ঠিকাদার উচ্চশিক্ষিত। আমরা সরকারের উন্নয়নের অংশীদার। আমরা কাজ করে তারপর সরকারের কাছ থেকে টাকা নেই। আমাদেরকে যদি প্রশাসন নিরাপত্তা না দেয় তাহলে আমরা কাজ করবো কীভাবে? আশুগঞ্জের সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সালাউদ্দিন ও তার দোসর কর্তৃক ঠিকাদার লোকমানের কাছে চাঁদা দাবি ও হামলার ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা জানাই এবং অনতিবিলম্বে এদেরকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।

বক্তারা হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, যদি দ্রুত এই সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন ও তার দোসরদের গ্রেফতার করে বিচার না করা হয় তাহলে আমরা ঠিকাদাররা একজোট হয়ে জেলার যাবতীয় উন্নয়ন কাজ বন্ধ করে দিয়ে   কঠিন আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবো।

এছাড়াও মানববন্ধনে বক্তারা চারটি দাবি তোলে ধরেন-১/ অবিলম্বে সন্ত্রাসী সালাউদ্দিন ও তার দোসরদের গ্রেফতার করা। ২/ ঠিকাদারী কাজ নিরাপত্তার সাথে করার পরিবেশ সৃষ্টির নিশ্চয়তা প্রদান করা। ৩/ ঠিকাদারীয় কাজের সাইডে থাকা লোকজনের জীবনের নিরাপত্তা বিধান করা। ৪/ কাজের সাইড থেকে নেওয়া মালামাল দ্রুত ফেরতের ব্যবস্থা করা।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন মোঃ আবুল কালাম ভূইয়া, মোঃ জামাল খান, মোঃ ফয়সাল আহমেদ, মোঃ সোহেল, আবু জাহের মৃধা, মোঃ মোখলেছুর রহমান, মোঃ ইকবাল হোসেন প্রমুখ।

উল্যেখ্য,  গত ৩০ নভেম্বর মোস্তফা কামাল এবং লোকমান হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আশুগঞ্জ সদরের গোলচত্বর থেকে তালশহর পর্যন্ত আট কিলোমিটার সড়ক সংস্কার কাজ শুরু করেন। কাজ চলমান অবস্থায় গত ৪ ডিসেম্বর আশুগঞ্জ সদর ইউপির চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিন তার লোকজন নিয়ে ঠিকাদারদের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। এক পর্যায়ে তিনি রাস্তা সংস্কার কাজ বন্ধ করে দেন। এ সময় তিনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনকে মারধর করেন।
হামলার ঘটনায় মোস্তফা কামাল এবং লোকমান হোসেনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আতিকুর রহমান সুমন আহত হন।পরে তিনি গত ১০ ডিসেম্বর বাদী হয়ে আশুগঞ্জ সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দিনকে প্রধান আসামি করে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে আদালতে মামলা করেন। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, হেলাল মিয়া, বেলাল মিয়া, দিলু, জসিম মিয়া, দুলাল, হুমায়ুন, আনার মিয়া, ছালামিন, তাজু মিয়া, মাঈন উদ্দিন, এবং মনির।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিবেদক

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply