ঈদে বাসভাড়া দ্বিগুণ। আর ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় বাংলাদেশে সারাবছরই সাধারণ ব্যাপার। টিকেটের অবস্থাও একই। দশদিন পূর্বেই টিকেট উধাও। ব্ল্যাকারদের কাছ থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে যাত্রীসাধারণকে টিকেট কিনতে হয় সারাবছরই। তাহলে ঈদের আগে-পরে কেমন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
ঈদের ছুটিশেষে সরকারিভাবে গতকাল রবিবার (২৬/০৮/১৮) থেকে সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীরা কাজে যোগদান করার কথা। তাই এর আগেরদিন থেকেই সবাই যার যার কাজে যোগদান করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়েন এবং কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করছেন। ঈদ-উত্তর যাত্রায় সারাদেশের মতো ব্রাহ্মণড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনও শিডিউল বিপর্যয়ের ফাঁদে পড়েছে। অধিকাংশ ট্রেনই নির্ধারিত সময়ের চেয়ে ১/২ ঘণ্টা দেরিতে আসছে। চারদিকে টিকেটের হাহাকার! শত শত যাএী শতবার চেষ্টা করেও নিজের একটি টিকেটের ব্যবস্থা করতে পারেনি; টিকেট কাউন্টার থেকে বলা হচ্ছে, দশদিন র্পূবেই টিকেট শেষ। উপায় না পেয়ে যাএীরা ব্ল্যাকারদের কাছ থেকে নির্ধারিত দামের চেয়ে তিন-চারগুণ বেশি দামে টিকেট কিনছে!
সিট ছাড়া যাত্রীদের অবস্হা খুবই নাজুক; অনেকে ঝুঁকি নিয়ে উঠছে ট্রেনের ছাদে। বসছে ইঞ্জিনের সামনে। কেউ দাঁড়িয়ে, কেউবা ঝুলছে দরজায়। এতে করে যে কোনো সময় ঘটতে পারে বড় দুর্ঘটনা। ঈদের আনন্দ পরিণত হতে পারে বিষাদে। কমিউটার ও ডেমো ট্রেনের তুলনায় আন্তঃনগরগুলোর অবস্হা আরো ভয়াবহ।
বাসের শিডিউল বিপর্যয় ট্রেনের তুলনায় অনেকাংশে কম। এখানে টিকেট পাওয়ার জন্যে হুড়োহুড়ি করতে হচ্ছে না। তবে ঢাকাগামী সোহাগ, তিসা, রয়েল, উত্তরা, ইকোনো, তিতাস প্রভৃতি গণপরিবহনগুলো নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে; এ অতিরিক্ত ভাড়াকে বাস-মালিকগণ ঈদ-সেলামি হিসেবে চালিয়ে নিচ্ছেন! ১০/১২ দিন পর পূর্বের নির্ধারিত ভাড়া নেবেন বলে জানালেন।
ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় বাংলাদেশে সারাবছরই সাধারণ ব্যাপার। টিকেটের অবস্থাও একই। দশদিন পূর্বেই টিকেট উধাও। ব্ল্যাকারদের কাছ থেকে দ্বিগুণ-তিনগুণ দামে যাত্রীসাধারণকে টিকেট কিনতে হয় সারাবছরই। তাহলে ঈদের আগে-পরে কেমন হবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সেই সূত্রেই ঈদ এলে ট্রেনের ও টিকেটের এ অবস্থা। সাথে অতিরিক্ত যুক্ত হয় পকেটমার, মলমপার্টি ও বাস-মালিকদের দৌরাত্ম। যাত্রী-সাধারণের এই ভোগান্তির শেষ কোথায়?
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]