মানুষ যাকে পছন্দ করে তার কলঙ্ক বইতে খারাপ লাগে না। আর যাকে ভাল লাগে না তার ফুলের মালা বহন করাও দুরূহ। তবে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হলে ভিন্ন। জ্ঞানগত সম্পর্কই মানুষকে আপন করে সবকিছুকে ভুলিয়ে রাখতে পারে।
দাদা তোমারে ভাল লাগে। তুমি যতই কষ্ট দাও তা আমি হাসিমুখে বরণ করতে রাজি। তোমার দেওয়া কষ্টগুলো মালা বানিয়ে স্মৃতির পাতায় রেখে দিতে মনে চায়। আর ঐ যে দেখছ, সে আমাকে পছন্দ করে ঠিকই কিন্তু আমি মোটেও তাকে সহ্য করতে পারি না। তার মিষ্টি কথা-হাসি সবই আমায় দুঃখ দেয়। তার সবই আমায় যন্ত্রণা দেয়। তাকে আমি বারেবারে তাড়িয়ে দেই। তবুও সে আমার কাছে আসে।
দাদা বলল, তাকে তুই বুঝিয়ে বল, ভালো লাগার বিষয়টি। প্রকৃতপক্ষে সে তোকে ভালবাসলে অব্যশই তোকে বুঝবে। তার অন্তর চক্ষুটা খুলে দে। ভালবাসার মানুষ না হলেও বন্ধু হয়ে তোর পাশে থাকার সুযোগ করে দে। আমরা মানুষ তাই সকল মানুষকে বন্ধু করে রাখতে হবে। বিচ্ছিন্ন হয়ে মানুষ থাকতে পারে না।
তাকে বুঝিয়ে দিস, মানুষ যাকে পছন্দ করে তার কলঙ্ক বইতে খারাপ লাগে না। আর যাকে ভাল লাগে না তার ফুলের মালা বহন করাও দুরূহ। তবে প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হলে ভিন্ন। জ্ঞানগত সম্পর্কই মানুষকে আপন করে সবকিছুকে ভুলিয়ে রাখতে পারে। এ সম্পর্কের বন্ধন দৃঢ়তর হয়, যা সহজে ভাঙ্গে না। প্রকৃত অর্থেই সবাইকে মানুষ হিসেবে বিবেচনা করতে শেখায়।
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম, সম্পাদকের বাছাই
[sharethis-inline-buttons]
এই পৃথিবিতে জ্ঞানগত ও আদর্শিক সর্ম্পকই প্রকৃত সর্ম্পক। এ সর্ম্পক ধীরে ধীরে সুদৃঢ় হয়। প্রকৃত পক্ষে মানুষ যদি সত্যিকারের জ্ঞানী হতে না পারে ইহজগতের লোভ-লালসা তাকে গ্রাস করে ফেলে।এ ছাড়া দুঃখ-কষ্ট সহ্য করার ধৈয্য ও সাহস তার মধ্যে থাকে না। লেখাটি খুবই চমৎকার হয়েছে।