প্রত্যেকে অন্যের দিকে তাকিয়ে সমাধান বের করে অন্যকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। তাহলে আমার সমস্যার সমাধানটা করবে কে? অন্য কেউ দিলে কি আমি নিতে পারি? না, কস্মিনকালেও না।
কাজী নজরুল ইসলাম তার এক কবিতায় লিখেছিলেন “যুগের ধর্ম এই, পীড়ন করিলে সে পীড়ন এসে পীড়া দেবে তোমাকেই।” নজরুলের কবিতার পংক্তির ইঙ্গিত কিন্তু প্রতিটি মানুষের ঘাড়ে গিয়ে পড়ে, তবে সমাধান কী? কবিতা আবৃতি বা কিছু লিখনি সমাজের সামনে তুলে ধরলেই কি সমাজ পরিবর্তন সম্ভব?
যদি আমার পিরা আমার ঘারে ফিরে আসে তবে জাগ্রত বা উদ্দীপ্ত হওয়ার মূল লক্ষ্য কী হওয়া উচিত? আমরা কি আদৌ সে জায়গায় কাজ করছি? প্রত্যেকে অন্যের দিকে তাকিয়ে সমাধান বের করে অন্যকে বুঝিয়ে দিচ্ছি। তাহলে আমার সমস্যার সমাধানটা করবে কে? অন্য কেউ দিলে কি আমি নিতে পারি? না, কস্মিনকালেও না।
আরো পড়ুন> বিশ্বাসে মিলে বস্তু, তর্কে বহু দূর
যেখানে আমার সংশোধন নিয়ে মানুষ চিন্তিত, সেখানে আমি জাতির সংশোধনচিন্তা করব কীভাবে? আজ যে ক্ষমতাসীন, সে তো আমার শ্রেণি থেকে উঠে একধাপ এগিয়ে ক্ষমতা আকড়ে ধরেছে। এখন সে একধাপ এগিয়ে। কিন্তু ধ্যান-ধারণা-শিক্ষা তো আমাদের কাছ থেকেই নিয়েছে। তাহলে তাকে দোষ দিব কীভাবে? আর তাকে দোষ দিয়েইবা কী হবে? আমার সমালোচনা কি সে পর্যন্ত যাবে?
আজ আমি যা করব, কাল তা ইতিহাস। তবে আমার করণীয়টা হবে, আমার শান্তি বা অশান্তির পেক্ষাপটে- তাই সর্বপ্রথম উচিত। আমাকে প্রাধান্য দিয়ে চিন্তা-চেষ্টা করা, যেন কোনো আদর্শ ও ইতিহাস গড়ে তোলার বাস্তবতা রেখে যাওয়া যায়।
সরকার জুম্মান: যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]