কুমিল্লার ময়নামতি এলাকায় একটি সেলুনে দেলোয়ার নামে এক ভাঙ্গারি ব্যবসায়ীকে গলা কেটে হত্যার ঘটনায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই পিবিআই সেলুনের মালিক ঘাতক লহ্মণ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করেছে। পিবিআই সূত্র জানায়, ঘটনার রাতে দেলোয়ার সেলুনে গেলে তার শরীর প্রায় এক ঘণ্টা যাবত ম্যাসাজ করা হয়। একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বস্তায় ভরে লাশ সেলুনে ফেলে রাখা হয়।
নিহত দেলোয়ার হোসেন (২৮) ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার সরাইল এলাকার জাহের আলীর ছেলে। তিনি জেলার বুড়িচং উপজেলার ময়নামতি ইউনিয়নের ফরিজপুর এলাকায় ভাড়া থাকতেন।
গ্রেফতারকৃত লহ্মণ চন্দ্র শীল আদর্শ সদর উপজেলার আমতলী এলাকার সুধীর চন্দ্র শীলের ছেলে। রোববার দুপুরে জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার চিতোশী এলাকা থেকে পিবিআই তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে নিয়ে বিকালে ঘটনাস্থলে যায় পিবিআই। এছাড়াও তার বাড়ির পাশে তার দেখানো মতে মাটির নিচ থেকে নিহতের দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এদিকে মামলাটি পিবিআই তদন্ত করবে বলে জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
পিবিআই সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে পাওনা টাকা না পেয়ে ময়নামতি টিপরা বাজার আজাদ মার্কেটের লক্ষণ হেয়ার কাটিং নামে এক সেলুনে কুপিয়ে হত্যা করা হয় ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনকে। পরদিন শুক্রবার রাতে সেলুনে রাখা একটি বস্তা থেকে ওই ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়।
পিবিআই কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিউদ্দিন মাহমুদ সোহেল বলেন, ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেনের কাছে সেলুনের মালিক লহ্মণ চন্দ্র ৩ লাখ টাকা পেতেন। কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে দেলোয়ার বিলম্ব করায় এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে টানাপোড়েন চলছিল। ঘটনার রাতে দেলোয়ার সেলুনে গেলে তার শরীর প্রায় এক ঘণ্টা যাবত ম্যাসাজের একপর্যায়ে তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে বস্তায় ভর্তি করে লাশ সেলুনে ফেলে রাখা হয়।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, রোববার দুপুরে মনোহরগঞ্জ থেকে সেলুনের মালিক লহ্মণ চন্দ্র শীলকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে নিয়ে ঘটনাস্থল ও তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক বাড়ির অদূরে মাটির নিচ থেকে দেলোয়োরের দুটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়। এ সময় পিবিআই কুমিল্লার পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমানসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। ১৬৪ ধারায় জবানবন্দির জন্য সোমবার লহ্মণ চন্দ্রকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।
ক্যাটাগরি: শীর্ষ তিন, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]