আলো যখন প্রজ্জ্বলিত হয়, তখন চারপাশে এমনিতেই ছড়িয়ে পড়ে। একজন মানুষের প্রাথমিক স্তর তার পরিবার। একটি পরিবার আলোকিত- মানে সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি অদূর ভবিষ্যৎ।
বর্তমান সমাজ মেধাবীপূর্ণ, কিন্তু জ্ঞানশূন্য। চারদিকে তাকালে বোঝা যায় কি অবস্থা? কত বড় মাপের মানুষ আছে আমাদের আশেপাশে। অথচ একটু খেয়াল করে তাকালেই তাদের ব্যবস্থাপত্রে ধরা পড়ে অগণিত সমস্যা। আর অনুবিক্ষণ ধরলে তো কথাই নেই।
কী বলবো, সারা জীবন এলে-বিলেতে পাশ করে এসে তারপর কবিতা, কাব্য, উপন্যাসের টেবিলে বসে। তাও আবার অন্যের সমস্যা নিয়ে, নিজের সমস্যার খবর নেই। তাহলে তার পাস করে কী লাভ হল? তা চেয়ে তো গায়ের কৃষকও ভাল। চোখে দেখে বিস্তৃত মাটি, সামনে থাকে আশার আলো।
এই তো সেদিন ঘুরে এলাম হিমুর কাব্য গ্রাম থেকে। সত্যিই রুচিশীল চিন্তার কারুকার্জ দেখে ভাল লেগেছে। তবে তার তৈরি বিভেদের দেয়াল দেখে কষ্ট পেলাম। রেখে যাওয়া স্বজনদের কর্মকাণ্ডই প্রকাশ করে। সেখানে শান্তি ছিল না, আঝো নেই। আছে টাকার খেলা।
হিমুর কবরের উপর স্বচ্চ গ্লাসে লেখা রয়েছে কবিতার লাইন। দেখে অবাক হলাম। আরে, কবরেও কি কবিতা রচনা হবে? মৃত্যুর সাথে তো এগুলো যায় না। ওখানেও কি ভদ্রলোককে শান্তিতে থাকতে দেবে না? অাজব দৃষ্টিভঙ্গি!
যাক সে কথা, ধর্মের কাণ্ডারীদের কাছে আসি। তারা অনেক চিন্তা-গবেষণা করে সমাজে শিক্ষা প্রচার করে বেড়ায়। তাদের দিকে অনেক সাধারণ তাকিয়ে থাকে। মুখবানী শুনে আশা জাগানিয়া তৃপ্তি পায়। ধর্ম প্রচারে এত ব্যস্ত, দম ফেলার সময় নেই। দেশে বিদেশে কী হুলুস্থুল ব্যপার। কিন্তু তাদের সংসার? চলছে টাকার ভরসায়। ছেলে-মেয়ে যেমনই হোক না কেন, কেবল টুপি বোরকার তলে থাকলেই চলবে। এ যেন কুপির নিচে অন্ধকারাচ্ছন্ন এক পরিবার।
যে যেদিকে যায়, শুধুই সমস্যা। বাবার কাছে সন্তানের কৃতকর্ম সমস্যা, সন্তানের কাছে বাবা। শান্তি নেই এই নিছক জীবন ব্যবস্থায়। জ্ঞান চ্যালেঞ্জ করে সীমাহীন শান্তি। অথচ আমাদের বিশ্বাস কোথায়? আলো যখন প্রজ্জ্বলিত হয়, তখন চারপাশে এমনিতেই ছড়িয়ে পড়ে। একজন মানুষের প্রাথমিক স্তর তার পরিবার। একটি পরিবার আলোকিত- মানে সমাজে আলোড়ন সৃষ্টি অদূর ভবিষ্যৎ।
সরকার জুম্মান : যাত্রাবাড়ি, ঢাকা
ক্যাটাগরি: নারী, মিনি কলাম, সম্পাদকের বাছাই
[sharethis-inline-buttons]