শান্তির সম্পর্ক হৃদয়ের সাথে। আর হৃদয় তৃপ্ত হয় সমস্ত পবিত্রতার সমন্বয়ে। আর পবিত্রতা অর্জন হবে আশা ও ভয়ের সংমিশ্রণে। আর তা আসবে প্রতি মূহূর্তে পবিত্র চিন্তা, আত্মকেন্দ্রীক গঠনমূলক প্রশ্নোত্তর ও পবিত্র জ্ঞান অন্বেষণ দ্বারা।
সংসার জীবন। চারদিকে কত ঘর, কত সংসার। চাকা ঘুরছে, ঘানি চলছে, সময় বয়ে যাচ্ছে। এক যুগ, দুই যুগ, চার যুগ। হঠাৎ একটা দুর্ঘটনা, কোনো একটি জীবনের শেষ! বাবা-মা’র হয়, তারা আবার সন্তানদের ঠেলে দেয়। পর্যায়ক্রমে চলতেই থাকে। চলবে কেয়ামত অব্দি।
কেমন সেটা? কী ধরন তার? লাভ ক্ষতি কী? একটা বালক বা বালিকা বয়ঃসন্ধিতে যুবক বা যুবতীতে পরিণত হয়। সাথে চলে আসে জৈবিক চেতনা। মস্তিষ্কে তৈরি হয় নানান চাহিদা। আশা-আকাঙ্ক্ষা, রঙিন স্বপ্ন। স্কুল-কলেজের গণ্ডিতেই লাগাম টেনে রাখা কষ্টকর হয়ে যায়। জড়িয়ে পড়ে কথিত প্রেম ভালবাসায়। এদের কিছু অংশ আকস্মিক বিয়েতে জড়ালেও অধিকাংশেরই পরকিয়া পরিবর্তন চলতে থাকে উচ্চ শিক্ষা পর্যন্ত।
শিক্ষা জীবন শেষ, একে একে বিয়ের মৌসুম শুরু। কোনোটা এরেঞ্জড, কোনোটা চয়েজ, কোনোটা লাভ ম্যারেজ বিবাহ। শুরু নতুন সংসার বা সং সাজা। সব বাদ, নতুন জীবন। আচ্ছা, চাইলেই কি বিশ ত্রিশ বছরের স্বভাব পরিবর্তন সম্ভব? যাক, যাচ্ছে, ভাল মিটছে যৌবনের চাহিদা। আসছে নতুন প্রজন্ম। জীবন সংসারে এভাবেই এগুতে হয়, এটাই নিয়ম।
শিক্ষা জীবন শেষ, একে একে বিয়ের মৌসুম শুরু। কোনোটা এরেঞ্জড, কোনোটা চয়েজ, কোনোটা লাভ ম্যারেজ বিবাহ। শুরু নতুন সংসার বা সং সাজা। সব বাদ, নতুন জীবন। আচ্ছা, চাইলেই কি বিশ ত্রিশ বছরের স্বভাব পরিবর্তন সম্ভব?
কিছু সময় পর আসে নানান চাহিদা, অভাব। হয় অর্থের, নয় একচ্ছত্র আধিপত্যের, না হয় যৌন শক্তির ঘাটতি। এবার কী করা ভাই। মুখ বুঝে সহ্য কর, সব মিলিয়েই সংসার। কিন্তু এভাবে কতদিন? মরার আগ পর্যন্ত। ধুর! কোনো ছাড় নাই, যার যার অধিকার প্রতিষ্ঠা করা চাই।
হবে প্রতি মূহূর্তে ঝগড়া, মারামারি, মনোমালিন্য। না হয় দেদারসে পরকিয়া। নিজে পাইলে বাপের নাম। ওখানে গেলে বোধহয় শান্তি । আরে শান্তির সমাধান কি এখানে? এখন না চাইতেও চিন্তা চলে এসেছে। যে অশুভ চিন্তার যন্ত্রণা বয়ে নিয়ে যাবে স্ট্রোক বা এ্যাটাক পর্যন্ত। এখন উপায় কী? ভাগ্যের উপর ছেড়ে দাও। তো ভাগ্য কি কাউকে ছাড়বে?
আসলে শান্তির সম্পর্ক হৃদয়ের সাথে। আর হৃদয় তৃপ্ত হয় সমস্ত পবিত্রতার সমন্বয়ে। আর পবিত্রতা অর্জন হবে আশা ও ভয়ের সংমিশ্রণে। আর তা আসবে প্রতি মূহূর্তে পবিত্র চিন্তা, আত্মকেন্দ্রীক গঠনমূলক প্রশ্নোত্তর ও পবিত্র জ্ঞান অন্বেষণ দ্বারা। যদি আজ থেকে পবিত্র চিন্তার সম্মিলিত (নারী-পুরুষ উভয়) অংশগ্রহণ সম্ভব হয়, তবে হয়তো একদিন একজন মানুষ বা একটি পরিবার তথা সমাজ, রাষ্ট্র, বিশ্ব তার সুফল ভোগ করবে বা পরিবর্তন সম্ভব। নতুবা সমাজ এক কুৎসিত অন্ধকারের অতল গহব্বরের দিকে এগুচ্ছে।
সরকার জুম্মান : ব্যুরো চীফ, দেশ দর্শন
ক্যাটাগরি: মিনি কলাম
[sharethis-inline-buttons]