রবিবার বিকাল ৫:০৭, ৮ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২২শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ধর্ষণের সময় চিৎকার করায় তামান্নাকে হত্যা করে দুলাভাই

১৪৫৫ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ১ টি

স্ত্রীকে অচেতন করে শ্যালিকাকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নাঈম ইসলামকে (২৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শনিবার ভোরে সদর উপজেলার তালশহর (পূর্ব) ইউনিয়নের অষ্টগ্রাম মামার বাড়ি থেকে তাকে আটক করা হয়। ধর্ষণের সময় চিৎকার করায় তামান্নাকে হত্যা করার কথা জানিয়েছেন নাঈম ইসলেস। নাঈম সদর উপজেলার নাটাই (দক্ষিণ) ইউনিয়নের শালগাঁও গ্রামের মৃত বসু মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, গত ১৭ জুন তামান্না তার বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে আসে। গত ১৯ জুন রাতে স্ত্রী স্মৃতি আক্তার ও শিশু কন্যা জান্নাতকে আমের জুস খাইয়ে অচেতন করার পর তামান্নাকে ধর্ষণ করে তার আপন দুলাভাই নাঈম। ধর্ষণের সময় তামান্না চিৎকার শুরু করায় তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে নাঈম। পরদিন ২০ জুন সকালে নাঈমের স্ত্রী স্মৃতি আক্তার গ্রামের এক সর্দারকে ডেকে আনলে নাঈম পালিয়ে যায়।

পালিয়ে যাওয়ার পর নাঈম অষ্টগ্রামে তার মামা শফিক মিয়ার বাড়িতে গা ঢাকা দেয়ার চেষ্টা করছিল। সোর্সের মাধ্যমে নাঈমের অবস্থান জানতে পেরে তার মামার বাড়ি থেকে তাকে আটক করে পুলিশ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রেজাউল কবির বলেন, নাঈম আমাদের কাছে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করেছে। আমরা আশা করছি সে আদালতেও স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেবে।

এদিকে ছেলের এ অপকর্মের ঘটনায় হতাশাগ্রস্ত হয়ে শনিবার ভোরে জেলার নবীনগর উপজেলার গোসাইপুর গ্রামে এক আত্মীয়ের বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন নাঈমের বাবা বসু মিয়া। সকালে নবীনগর থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন ।

সায়মন ওবায়েদ শাকিল : বিশেষ প্রতিনিধি

Some text

ক্যাটাগরি: খবর, নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

১ কমেন্ট “ধর্ষণের সময় চিৎকার করায় তামান্নাকে হত্যা করে দুলাভাই

  1. Pingback: শ্যালিকা ধর্ষক ও হত্যাকারী নাঈমের বাবার আত্মহত্যা – দেশ দর্শন

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি