বৃহস্পতিবার দুপুর ২:২৭, ১২ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

হারিয়ে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সেই বিখ্যাত তিতাস নদী

বিশেষ প্রতিবেদক

তিতাস নদী দিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে আখাউড়া পর্যন্ত বিভিন্ন পণ্যসামগ্রী আনা-নেওয়া করা হয়। তবে বর্তমানে বর্ষা মৌসুম ছাড়া এসব পণ্য পরিবহন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। অন্য সময় তিতাসে পানি না থাকায় নৌযান চলাচল করতে পারে না। একই অবস্থা ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদরের উজানিসার থেকে পূর্ব ও পশ্চিম দিকে আখাউড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় তিতাস নদ দিয়ে চলাচলের অবস্থাও। এসব এলাকার কোথাও কোথাও রীতিমতো তিতাসকে খুঁজে পাওয়াই দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এ তো গেল তিতাসের পানি প্রবাহের কথা। তিতাসের ডাঙায়ও রয়েছে নানা বিপত্তি। পাড় ঘেঁষে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে গড়ে উঠেছে অনেক অবৈধ স্থাপনা। আর ময়লা-আবর্জনা ফেলে পাড়ের পরিবেশ বিষিয়ে তোলা হয়েছে। এসব দখল-দূষণের কারণে বিভিন্ন স্থানে সংকীর্ণ হয়ে এসেছে তিতাসের গতিপথ।  ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার মেড্ডা থেকে কাউতলী পর্যন্ত তিতাসের পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে অবৈধ স্থাপনা। অবৈধ দখলদাররা প্রতিনিয়ত নদীর তীর দখল করতে কৌশল হিসেবে এসব স্থানের তিতাসের পাড় ঘেঁষে তৈরি করছে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ।

পুরো ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা-বেষ্টিত এই তিতাস। জেলা সদর, নবীনগর, আশুগঞ্জ, সরাইল, নাসিরনগর, আখাউড়া, বিজয়নগর উপজেলার ওপর দিয়ে বয়ে গেছে প্রায় ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে তিতাস নদ। সরাইলের বোমালিয়া খাল দিয়ে এসে নবীনগরের চিত্রি গ্রাম দিয়ে মেঘনায় মিলেছে তিতাস। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌর এলাকার পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া তিতাস নদে সম্প্রতি সরেজমিন ঘুরে দেখা গেছে, মেড্ডা থেকে কাউতলী এলাকা পর্যন্ত কচুরিপানার স্তূপ। এ কারণে নৌকা চলাচল করতে পারছে না। তিতাসপাড়ের পূর্ব পাশের বিভিন্ন স্থানে স্তূপ করে রাখা হয়েছে ময়লা-আবর্জনা। পাড় ঘেঁষে গড়ে উঠেছে একের পর এক স্থাপনা।

এপারের মেড্ডা থেকে ওপারের কাশিনগর, এপারের কারখানাঘাট থেকে ওপারের সীতানগরের দূরত্ব ২০০ থেকে ৩০০ গজ। কচুরিপানার কারণে নৌকায় করে এই অংশটুকু পার হতে সময় লেগে যাচ্ছে ১৫ থেকে ২০ মিনিট। তিন থেকে চারজন মিলে এপার থেকে ওপারে টেনে নিয়ে যাচ্ছে নৌকা।

ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply