জীবন হলো কিছু সময়ের সমষ্টি মাত্র। এই কিছু সময়ের মাঝে চলে হাজারো সংগ্রাম। সব সংগ্রামে জয় আসে না, কিছু সংগ্রামে পরাজয়ও আসে। জন্মের পর বেঁচে থাকার সংগ্রাম, বাঁচতে পারলে আসে শিক্ষার সংগ্রাম, শিক্ষা শেষ হলে আসে কর্মের সংগ্রাম, কর্ম পেলে আসে অর্থের সংগ্রাম, অর্থের অভাব দূর হলে আসে সুখ শান্তির সংগ্রাম। কারণ ধনীরা সুখী নয়। টাকা দিয়ে বাড়ি, গাড়ি, জমি সব কিনা যায় কিন্তু সুখ কেনা যায় না। তাইতো সুখ কবিতার আলাদা দুটি চরণে বলা আছে-
১। রাজ-প্রাসাদে থাকলে তো আর সুখ পাবে না, কুঁটির মাঝে সুখ থাকে সবাই জানে না।
২। সত্য যেথায় বিরল অটল আমায় সেথায় পাবে, সুখ খুঁঁজিতে নাহিবা তুমি রাজ-প্রাসাদে যাবে। -রাসেল মাহমুদ
সুখের সংগ্রাম করার পর আবার ফিরে আসে জীবনের প্রথম সংগ্রাম। বেঁচে থাকার সংগ্রাম, যেটি জীবনের শেষ সময় আবার এসে দাঁড়ায়। যে সংগ্রাম বারবার এসে দাঁড়ায় সে সংগ্রাম তোমায় পরাজিত করবেই। জীবনের শেষ সময় মৃত্যুর সাথে লড়াই করে চিরদিন বা বেশিদিন নয়, কিছুদিন বেঁচে থাকার নামই হলো মৃত্যুর বিরুদ্ধে সংগ্রাম।
তবে তুমি কি জানো, মৃত্যু নামক সংগ্রামটি অপরাজেয় এক নাম? যে হারাতে জানে কিন্তু হারতে কভু জানেনা। এই সংগ্রামগুলোর বিপরীতে অবস্থান করে আরেকটি সংগ্রাম, যার শুরু জীবনের শুরু হতে জীবনের শেষ পর্যন্ত। সেটি হলো আল্লাহ ও তার দ্বীনের পথে জিহাদ। জীবনের প্রতি মূহুর্তে এই সংগ্রাম করতে হয়।
এই সংগ্রামের শেষ স্তর হলো জীবন বিলিয়ে দেয়া আর এর ফলাফল হলো প্রভুর দীদার ও শ্রেষ্ঠ নিয়ামত জান্নাত লাভ। জীবনে এতো সংগ্রাম করেও যখন মৃত্যুর কাছে হার মানতে হয়, তখন যে মৃত্যুতে কোনো কদর নেই সেই মৃত্যুতে নয়, আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে প্রভুর দিদার ও জান্নাত লাভের মৃত্যুর কাছেই হার মানবো।
চলবে…
রাসেল মাহমুদ : সংবাদকর্মী, ভোলা
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, সাহিত্য
[sharethis-inline-buttons]