অনলাইনভিত্তিক সংগঠন কে-ফোর্সের ষষ্ঠ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আলোচনা সভা আজ বৃহস্পতিবার ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেসক্লাবে মহাসমারোহে উৎযাপিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন নয় মাসের অনেক ইতিহাস এখনো অজানা। আমাদের যেমন সফলতা আছে- আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি, বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার করেছি, তেমনি আমাদের কিছু ব্যর্থতাও আছে। সেটা হচ্ছে, মহান মুক্তিযুদ্ধের নয় মাস সময়ে কার কী ভূমিকা ছিল, কে কে ষড়যন্ত্র করেছে তা আমরা আজো সঠিকভাবে তুলে ধরতে পারি নাই। এখানে আমরা ও আমাদের সরকার চরম ব্যর্থ।
এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন দৈনিক আজকের বাংলার প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলু, জেনারেল খালেদ মোশাররফের কন্যা মাহজাবিন খালেদ বেবি, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপ-স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি কোহেলী কুদ্দুস মুক্তি, ওয়ারী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আশিকুর রহমান লাভলু, আয়োজক সংগঠন কে-ফোর্সের মেন্টর নাজমুস সাকিব, মেন্টর তাসরিক মোহাম্মদ সিকদার, চিফ এডমিন শামসুদ্দোহা সরকার সোহাগ, সহ চিফ এডমিন রফিকুল হাসান শান্ত।
হামজা রহমান অন্তরের পরিচালানায় অনুষ্ঠনে সারাদেশ থেকে আগত কে-ফোর্সের শতাধিক সদস্য অংশ নেন। আর এর মধ্যমনি হয়ে উঠেন মাহজাবিন খালেদ বেবি। তিনি এ সংগঠনটির প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে সম্পৃক্ত আছেন এবং নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
উল্লেখ্য যে, ‘আদর্শে সংগ্রামে অনলাইনে দুর্বার’ স্লোগানকে ধারণ এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার খালেদ মোশাররফের চিন্তা ও কর্মকৌশলকে অবলম্বন করে গড়ে ওঠা এ প্রজন্মের একটি অনলাইনভিত্তিক সংগঠন কে-ফোর্স। কে-ফোর্সের একজন নীতিনির্ধারক সংগঠনটি সম্পর্কে বলেন, এটি গঠিত হয়েছে বিশেষ করে জামাত-শিবিরের দেশবিরোধী ও স্বাধীনতাবিরোধী অপপ্রচার রুখতে। তারা বিভিন্ন কৌশলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মহান মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে কথা বলে।
ক্যাটাগরি: সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]