প্রতিপক্ষ ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল। তবে দলীয় দুর্বল অবস্থান, পুলিশি ধাওয়া এবং নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হওয়ায় শ্যামলের বিজয়ের সম্ভাবনা একপ্রকার নেই বলেই স্থানীয় রাজনীতি-বিশ্লেষকগণ মনে করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমানুষের নেতা র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী এমপি। তার নেতৃত্বে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আওয়ামী লীগে কিছু বিচ্ছিন্ন বিচ্ছিন্নতা থাকলেও সামগ্রিকভাবে একটি শক্ত অবস্থান তৈরি করেছে। তিনি যুদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক-গবেষক এবং বর্তমান সংসদ সদস্য। এবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার-৩ আসনে (সদর-বিজয়নগর) তিনি মহাজোটের একক প্রার্থী। তার প্রতিপক্ষ ধানের শীষের প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার খালেদ মাহবুব শ্যামল। তবে দলীয় দুর্বল অবস্থান, পুলিশি ধাওয়া এবং নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হওয়ায় শ্যামলের বিজয়ের সম্ভাবনা একপ্রকার নেই বলেই স্থানীয় রাজনীতি-বিশ্লেষকগণ মনে করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনে উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী অপ্রতিদ্বন্দ্বী এবং প্রাজ্ঞ রাজনীতিক। ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কাজ না হওয়ার মধ্যেও তার সময়কালে গত সাত বছরে যতটুকু কাজ হয়েছে, গত পনেরো বছরেও তা হয়নি। তাছাড়া তিনি অনেক সাধারণ মানুষের কাছাকাছি যেতে পেরেছেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়াকে অনেকটা প্রকাশ্য সন্ত্রাসমুক্ত করতে পেরেছেন। অবশ্য তার ব্যর্থতাও অনেক। এর মধ্যে প্রথমেই আসে সুবিধাভোগী ও তেলবাজদের কথা। দ্বিতীয়ত, প্রশানের সম্পূর্ণ দলীয়করণ। বিশেষ করে নির্বাচন উপলক্ষে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে গায়েবী মামলা ও গ্রেফতারের অভিযোগও আছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সাধারণ মানুষ মনে করছেন, সারাদেশের পরিস্থিতি যাই হোক, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। তার উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড, প্রচার-প্রচারণা, মিডিয়ার ‘নি”শর্ত সমর্থন’ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার ক্ষেত্রে মোকতাদির চৌধুরীকেই এগিয়ে রেখেছে। তবে নির্বাচনের দিন বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ, কোনো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিতের আশঙ্কাও কেউ কেউ করছেন। এক্ষেত্রে তারা মনে করছেন, তিনি তার নেতাকর্মীদের শক্ত নির্দেশের ভেতর রাখতে পারলে আর প্রশাসন নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করলে নির্বাচন সুষ্টূ এবং গ্রহণযোগ্য হবে। সাধারণ মানুষও কেন্দ্রে গিয়ে নির্ভয়ে ভোট দিতে পারবে।
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া
[sharethis-inline-buttons]