বরাবর: সম্পাদক, দেশ দর্শন। বিষয়: প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ
জনাব, আপনার অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে জানাচ্ছি যে, গত ১২ এপ্রিল আপনার নিউজ পোর্টাল দেশ দর্শনে “নেতাপেতা ও প্রশাসনের দালালিতে ব্যস্ত দুর্গাপুরের সাংবাদিকরা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা দুর্গাপুরে প্রেসক্লাবে কর্মরত সাংবাদিকসহ অন্যান্য সাংবাদিকদের সম্মানে আঘাত হেনেছে।
উক্ত প্রকাশিত সংবাদটি নিয়ে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিগগণ তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছেন। নেত্রকোনা জেলার মধ্যে দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সংবাদকর্মীগণ অত্যন্ত সুনামের সাথে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করছেন বিধায় প্রকাশিত সংবাদের ভাষা ও শিরোনাম আমাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের এই প্রতিবাদলিপিটি আপনার দেশ দর্শনে প্রকাশ করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
ধন্যবাদান্তে: নির্মলেন্দু সরকার বাবুল, সভাপতি
ও মোঃ তোবারক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক
দুর্গাপুর প্রেসক্লাব
প্রতিবেদকের মন্তব্য: দেশ দর্শনে নেতাপেতা ও প্রশাসনের দালালিতে ব্যস্ত দুর্গাপুরের সাংবাদিকরা শিরোনামে প্রকাশিত প্রতিবেদনটি আমি দুর্গাপুরের সিংহভাগ সাংবাদিকের নিউজ-প্রতিবেদন দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে লিখেছি। প্রতিবেদনেও তার প্রমাণ রাখতে চেষ্টা করেছি। এতে সেখানকার সৎ সাংবাদিকগণকে কোনো প্রকার হেয় বা কষ্ট দেওয়ার কোনো উদ্দেশ্যে আমার ছিলো না। উদ্দেশ্য ছিলো, যেসব সাংবাদিক কিছু উপরি পাওনার জন্য প্রশাসন ও ‘নেতাকর্মীদের’ গুণগানে ব্যস্ত, তাদের এ কাজ থেকে ফিরে আসার একটা বার্তা দেওয়া। আশা করি তারা সেটা পেয়েছেন।
দুর্গাপুর প্রেসক্লাবের সাংবাদিগগণ কষ্ট পেয়েছেন জেনে আমিও মর্মাহত। তবে প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদেরকে কষ্ট দেওয়া বা হেয় করার উদ্দেশ্যে আমি উক্ত প্রতিবেদনটি করিনি এবং সব সাংবাদিকদেরকে ঢালাওভাবে বলিনি। বরং প্রতিবেদনে বলা হয়েছে “তবে সব সাংবাদিক এমন না। কেউ কেউ তাদের দুঃখ-কষ্টগুলোও তুলে ধরার চেষ্টা করছেন।” দুর্গাপুরের সৎ সাংকবাদিকদের প্রতি আমি আগেও শ্রদ্ধাশীল ছিলাম, এখনো আছি। যদি আমার সেই প্রতিবেদনের দ্বারা কোনো সৎ, যোগ্য ও সাহসী সাংবাদিক কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে আমি ক্ষমাপ্রার্থী।
জুনায়েদ আহমেদ: স্টাফ রিপোর্টার, দেশ দর্শন
ক্যাটাগরি: শীর্ষ তিন, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]