শুক্রবার সকাল ১০:০৩, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং

ইনকিলাবের ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধিকে বরখাস্ত না করলে সারাদেশে ইনকিলাব বর্জন

জুনায়েদ আহমেদ

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি ও ইনকিলাবের জেলা প্রতিনিধি রশিদুল ইসলামকে ইনকিলাব থেকে বরখাস্ত না করলে সারাদেশে ইনকিলাব পুড়িয়ে ফেলার ও বর্জন করার হুঙ্কার দিয়েছেন জামিয়া ইউনুছিয়ার সিনিয়র মুহাদ্দিছ ও সহশিক্ষাসচিব মুফতি আব্দুর রহীম কসেমী। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদরের জেলা ঈদগাহে আয়োজিত জামিয়া ইউনুছিয়ার তিন দিনব্যাপী ১০৭তম বার্ষিক মাহফিলের শেষদিনে তিনি এ হুঙ্কার দেন।

তিনি বলেন, জামিয়া ইউনুছিয়ার বার্ষিক মাহফিলে মাদরাসার পক্ষ থেকে প্রেসক্লাবে চিঠি পাঠিয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু তারা এই পর্যন্ত আমাদের সাথে কোনো যোগাযোগ করেনি। এ সময় তিনি উত্তেজিত হয়ে বলেন, প্রেসক্লাবের সভাপতি ইনকিলাব প্রতিনিধি রাশিদুল ইসলামকে ইনকিলাব থেকে বরখাস্ত করা না হলে আমরা ইনকিলাব পুড়িয়ে ফেলবো, বর্জন করবো। আমরা ইনকিলাব পড়বো না, পড়বো না, পড়বো না। এ সময় উপস্থিত শ্রোতারাও সমস্বরে তার সাথে একমত পোষণ করেন।

তিনি আরো বলেন, নবীর যুগে কি পত্রিকা ছিলো? ছিলো না। আমাদের আন্দোলনেও তাদের পত্রিকার দরকার নাই। আল্লাহ দেখলেই তো হলো। শেষে তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীর পক্ষ থেকে রাশিদুল ইসলাম আবরারকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে  অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন।

উল্লেখ্য,  গত ২০ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইউনুছিয়ার ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদ ও কাদিয়ানীদেরকে রাষ্ট্রীয়ভাবে অমুসলিম ঘোষণার দাবিতে জেলার আলেম উলামা, ছাত্র ও সর্বস্তরের জনগণের উদ্যোগে স্মরণকালের বৃহৎ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু পরদিন এ বিষয়ে কোনো সংবাদ জাতীয় পত্রিকায় না আসায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে একজন আলেমের বাকবিতণ্ডা হয় হয় বলে খবরে প্রকাশ। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রেসক্লাব ঘোষণা দেয় কওমি অঙ্গনের নিউজ বয়কটের। ফলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব ও জামেয়া ই্উনুছিয়ার মধ্যে মুখোমুখি অবস্থার সৃষ্টি হয়।

জুনায়েদ আহমেদ

 

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply