তারা মুফতী ফয়জুল্লাহকে দালাল মনে করেন এবং ২০১৩ সালে শাপলাচত্ত্বরে মাদরাসার ছাত্ররা যে মার খেয়েছে এর পীছনেও মুফতী ফয়জুল্লার চক্রান্ত আছে বলেও মনে করেন।
ইসলামী ঐক্যজোট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শাখার উদ্যোগে আয়োজিত মুফতী ফজলুল হক আমিনী এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা সভা, দোয়া মাহফিল চলাকালীন মুফতী ফয়জুল্লাহ উপস্থিত হলে জামিয়ার ইউনুছিয়ার ছাত্রদের একাংশ মুফতী ফয়জুল্লার ‘মুভ’ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণের একটি ছবি হাতে দালাল, দালাল বলে স্লোগান দিয়ে মুফতী ফয়জুল্লাহকে অনুষ্ঠান থেকে বয়কট করার দাবি জানায়।
এ সময় উপস্থিত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শীর্ষ আলেম শায়েখ সাজিদুর রহমান ও অন্যান্যরা দাবিরত ছাত্রদের স্লোগান বন্ধ করতে আহবান করলে তারা স্লোগান বন্ধ না করে আরো জোরে জোরে স্লোগান দিতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ পৌর মিলনায়তন থেকে বের হয়ে বাইরে বিক্ষোভ করতে থাকে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পুলিশের উপস্থিতিতে কিছুক্ষণের মধ্যেই অনুষ্ঠান শেষ করা হয়।
আজ বোধবার ১৮ ডিসেম্বর আছরের পর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁ পৌর মিলনায়তনে এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, আজ যোহরের পর থেকে শুরু হওয়া মুফতী ফজলুল হক আমিনী এর জীবন ও কর্ম শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে মুফতী ফয়জুল্লাহ প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকার কথা। সে অনুযায়ী মুফতী ফয়জুল্লাহ আসরের পর অনুষ্ঠানে এসে উপস্থিত হোন। এর কিছুক্ষণ পরই জামিয়া ইউনুছিয়ার ছাত্রদের একাংশ মুফতী ফয়জুল্লাহ মুব অনুষ্ঠানে অংশগ্রহনের একটি ছবি হাতে দালাল দালাল বলে স্লোগান দিয়ে মুফতী ফয়জুল্লাহকে বয়কট করার দাবি জানায়। পরে তাদের এই এই দাবি বিক্ষোভে রূপ নেয়।
এই বিষয়ে জামিয়ার কয়েকজন ছাত্রদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তারা মুফতী ফয়জুল্লাহকে দালাল মনে করেন এবং ২০১৩ সালে শাপলাচত্ত্বরে মাদরাসার ছাত্ররা যে মার খেয়েছে এর পীছনেও মুফতী ফয়জুল্লার চক্রান্ত আছে বলেও মনে করেন।
জুনায়েদ আহমেদ
ক্যাটাগরি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া, শীর্ষ তিন, সারাদেশ
[sharethis-inline-buttons]