শুক্রবার ভোর ৫:৪৮, ৫ই আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ১৯শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ইং

ব্রাহ্মণবাড়িয়া ফকিরাপুল নেতাকর্মীদের ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে

জুনায়েদ আহমেদ

প্রায় প্রতিদিনই এর উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন ওসি, এসপি, মেয়র, ডিসি, এমপিসহ বড় বড় রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ। কিন্তু এই বিশ্রী অবস্থা কারোই নজরে পড়ে না। পড়লেওবা কি? তারা হয়তো মনে করছেন এটা তাদের জন্য সম্মানজনক! কারণ ব্যানার-ফেস্টুনে তাদেরই শুভেচ্ছা ও ‘কীর্তিগাঁথা’!

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা টি.এ রোড। এই টি.এ রোডের গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গা হচ্ছে ফকিরাপুল, যাকে আগে ‘ঘোড়াপট্টি’ নামে সবাই চিনত। শহরের একমাত্র ও বিখ্যাত খালটি এ ব্রিজের নীচ দিয়েই প্রবাহিত হয়েছে। ফকিরাপুলের আশপাশের জায়গাটি জেলাশহরের একটি অন্যতম বাণিজ্যিক স্পট। সদর থানা, পোস্ট ও টিএন্ডটি অফিস, মঠের গোড়া, পৌরসভা, বঙ্গবন্ধু স্কয়ার, পুরনো কাচারি অফিস- সবই এই ফকিরাপুল সংলগ্ন ও এর আশেপাশ এলাকায়। এর একটু দূরে গেলেই সদর হাসপাতাল, প্রেসক্লাব ইত্যাদি।

এই ফকিরাপুল বা ব্রিজটিতে কিছুদিন আগে সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য কারুকার্যময় স্টিলের গ্রীল লাগানো হয়। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ব্রিজের মাঝখানে লাগানো হয় বিভিন্ন জাতের ফুলের গাছ। যা ব্রিজের সৌন্দর্যকে আরো বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছিলো। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য লাগানো সেই কারুকা‌র্যময় গ্রীলে গত কয়েকবছর ধরেই শোভা পাচ্ছে রাজনৈতিক নেতা-পাতিনেতাদের বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন। যা ব্রিজের সৌন্দর্যকে একেবারেই ম্লান করে দিয়েছে।

জেলার যে কোনো জায়গা থেকে শহরে আসতে হলে এই ফকিরাফুল ব্রিজ পার হয়ে তবেই আসতে হয়। অন্যদিকে প্রায় প্রতিদিনই এর উপর দিয়ে যাতায়াত করছেন ওসি, এসপি, মেয়র, ডিসি, এমপিসহ বড় বড় রাষ্ট্রীয় ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাগণ। কিন্তু এই বিশ্রী অবস্থা কারোই নজরে পড়ে না। পড়লেওবা কি? তারা হয়তো মনে করছেন এটা তাদের জন্য সম্মানজনক! কারণ ব্যানার-ফেস্টুনে তাদেরই শুভেচ্ছা ও ‘কীর্তিগাঁথা’!

আজ ১৬ নভেম্বর সরেজমিনে দেখা যায়, ব্রিজের দু’পাশে এলোমেলোভাবে ছোটবড় বিভিন্ন ব্যানার, ফেস্টুন ঝুলানো, যা দেখতে খুবই বাজে লাগে। এগুলোতে কেউ কেউ জানিয়েছেন শুভেচ্ছা, আবার কেউ কেউ করেছেন পদ পাওয়ার আবেদন। এ ব্যাপারে স্থানীয় কয়েকজন ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও পথচারী ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এখন রাজনীতি, প্রশাসন, ডিসি, এসপি, মেয়র, ওসি সবই দালালনির্ভর হয়ে পড়েছে এবং তারা বিশেষ এক দুষ্টচক্রে বন্দি।

অন্যদিকে তারা নিজেরাও এই দুষ্টচক্র লালন করেন। তাই এসব দেখার কেউ নেই। তারা দ্রুত এ অবস্থা থেকে মুক্তি চান এবং এসব রাজনৈতিক ব্যানার-ফেস্টুন অপসারণ করে ব্রিজের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের পদক্ষেপ আশা করেন।

জুনায়েদ আহমেদ : স্টাফ রিপোর্টার

ক্যাটাগরি: প্রধান খবর,  ব্রাহ্মণবাড়িয়া,  শীর্ষ তিন

ট্যাগ:

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply