প্রবল প্রবনতায় আমরা অনেক কিছুই করি । এবং যা করি প্রত্যেকই নিজ নিজ স্বাতন্ত্র্যবোধ থেকেই করি । সাহিত্য চর্চা তার ব্যতিক্রম নয় । সাহিত্য হলো প্রাণের বাসিন্দা । আত্মার আহার ।
সাহিত্য যুগে যুগেই মানুষের মন জয় করেছে । মানুষকে হাঁসিয়েছে, কাঁদিয়েছে । খুশিতে উদ্বেলিত করেছে, ভাসিয়েছে নয়ন জলেও । ঘুম পাড়িয়েছে, ঘুম ভাঙ্গিয়েছে ।
মাথায় হাত বুলানো মায়ের পরশে শিশুকে ঘুম পাড়াতে সাহিত্যের যেমন অবদান আছে । তেমনি ঘুমন্ত কোন জাতিকে অদম্য চেতনায় জাগিয়ে তুলতেও সাহিত্যের ভূমিকা অতুলনীয় । এটি যাপিত জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ । যেমন- কায়া’র অংশ ছাঁয়া ।
সাহিত্য হলো অলংকার। ভাষার অলংকার । রূপসী রমণীর বদনে শোভিত অলংকারের মত ।
একটা সময় ছিল যখন একটা কথাকে দশ হাত ঘুরিয়ে বলতে পারাটাকে সাহিত্য এবং বিশেষ যোগ্যতা ভাবা হতো । আমার শ্রদ্ধেয় উস্তায, সময়ের শ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক ‘মাওলানা যাইনুল আবিদীন’ হাফি: এটাকে আন্ত:নগর ট্রেনের সাথে সাদৃশ্য করেছেন । তিনি এর নাম দিয়েছেন ‘ট্রেনবাক্য’ ।
কিন্তু বর্তমান পাঠকদের চাহিদা হলো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র বকুল ফুল আর মুক্তা দিয়ে গ্রথিত মালার মত । আমি এর নাম দিয়েছি ‘বাইকবাক্য’ । যা আকৃতিতে ছোট হলেও গতি অনেক ।
কালের আবর্তে এর পরিমান কোথায় গিয়ে ঠেকে বলা মুশকিল ।
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]