শুক্রবার রাত ৩:১৪, ১৩ই পৌষ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ. ২৬শে ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং

ইউপি নির্বাচন-২১ ঠাকুরগাঁও সদরের বিভিন্ন ইউনিয়নে নির্বাচনের আমেজ

৪০৭ বার পড়া হয়েছে
মন্তব্য ০ টি

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে ঘিরে উৎসবের আমেজ। ২০ টি ইউনিয়নের ৮৬ জন চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দেন। এর মধ্যে
ঢোলারহাট ইউনিয়নে আ’লীগের দলীয় প্রাথর্ী অখিল চন্দ্রের মনোনয়ন বাতিল করে রিটার্নিং অফিসার। বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে দেখা যায় ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ ও উদ্দীপনা কাজ করছে। বিভিন্ন হাট-বাজার ও চায়ের দোকানে শুধু নির্বাচনের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করছেন ভোটারগণ। প্রাথর্ীদের অতীত ও বর্তমান অবস্থার বিশ্লেষণে চলে নানা ধরনের আলোচনা। প্রাথর্ীদেরও বিভিন্ন কর্মকান্ড করতে দেখা যায়, এর মধ্যে সামাজিক অনুষ্ঠান,বিভিন্ন সমাবেশে যোগদান, জনসমর্থনে গ্রহন করছেন নানা কৌশল।
সবকিছু মিলিয়ে সরগরম সদর উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন। এরই ধারাবাহিকতায় সদর উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নেও ভোটারদের মধ্যে নির্বাচনকে সামনে রেখে উৎসাহ উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যায়। গতকাল বুধবার ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে গিয়ে জানা যায়, নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মোট ৫ জন প্রাথর্ী প্রতিদ্বন্দিতা করছেন।
উল্লেখিত ৫ জনের মনোনয়নপত্র বৈধতা পায়। প্রাথীরা হলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান মো: নূর এ আলম মুক্তি (আ’লীগ), জুলফিকার আলী ভুট্টো (স্বতন্ত্র), আলহাজ্ব মো: আফাজউদ্দিন ভুইয়া (স্বতন্ত্র),মো: মতিয়ার রহমান (জাকের পার্টি) ও মো: ফিরোজুল ইসলাম (ইসলামী আন্দোলন)। নির্বাচনে ৫ জন প্রার্থীর মধ্যে আ’লীগের প্রার্থী নূর এ আলম মুক্তি ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জুলফিকার আল্লী ভুট্টোর মধ্যে দ্বিমুখি লড়াই হতে পারে বলে ইউনিয়নের একাধিক ভোটারদের মন্তব্য করতে শোনা যায়। আ’লীগের দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত প্রার্থী মো: নূর এ আলম মুক্তি বলেন, বর্তমান সরকারের
চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ডগুলো চালিয়ে নেব। বয়স্ক ভাতা, ১০ টাকা কেজি চালের কার্ড,ভিজিডি, মাতৃভাতা, অসহায় ও দু:খী মানুষের মাঝে বিনামূল্যে প্রদানের চেষ্টা করবো।
জনগণের চলাচলের সকল রাস্তা পাকা করা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান হতে প্রাপ্ত অনুদান সুষম বন্টন করবো। মাদকের বিরুদ্ধে সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির বাস্তবায়নে ইউনিয়ন থেকে মাদক চিরতরে নিমুর্ল করতে কাজ করবো। এর আগে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকসেবীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইউনিয়নের গরীব-দু:খি মানুষ, প্রতিবন্ধী, ক্ষুদ্র
নৃ-গোষ্ঠী পরিবারের সন্তানেরা যেন মানুষের মত মানুষ হতে পারে সে ব্যাপারে সহায়তা করবো। আদিবাসীদের মূল শ্রোতধারায় ফিরিয়ে আনতে ইতিমধ্যে বেশ কিছু কাজ করা হয়েছে, বিভিন্ন উন্নয়ন কমিটিতে তাদের অন্তভুর্ক্ত করা হয়েছে। আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী করতে ইউনিয়নবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনা করেন তিনি।
স্বতন্ত্র প্রাথর্ী জুলফিকার আলী ভুট্টো বলেন, নির্বাচনে গত বছরও প্রতিদ্বন্দিতা করেছিলাম। এবার নির্বাচনে বিজয়ী হলে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ধমীয় প্রতিষ্ঠানগুলোতে সুষম বন্টন করবো। আদিবাসী ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য বিশেষ কোটার মাধ্যমে তাদের মূল শ্রোতধারায় নিতে উদ্যোগ গ্রহন, মাদক ও সমাজবিরোধী কার্যকলাপের
বিরুদ্ধে স্বোচ্চার ভূমিকা পালন করা হবে। সুবিধা বঞ্চিত মানুষদের জন্য কাজ করা,গরীব দু:খী শিক্ষার্থীদের সার্বিক সহযোগিতা ও প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। ইউনিয়নের ক্রীড়াঙ্গনকে নতুন করে সাজানো, বেকার ও যুব সমাজের জন্য বিশেষ
প্রকল্প গ্রহন করা হবে। গ্রামীন রাস্তাঘাট করা, দলমত নির্বিশেষে সকল জনগনের সাথে মিশে যুব সমাজকে নেশা থেকে দূরে রাখতে গুরুত্বপুর্ন ভূমিকা রাখবো। সর্বোপরী ইউনিয়নবাসীর নাগরিক যাবতীয় সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে সবসময় সু-দৃষ্টি রাখবো।
ইউনিয়নবাসীর নিকট দোয়া প্রার্থনাও করেন তিনি।
উল্লেখ্য, মো: নূর এ আলম মুক্তি ও জুলফিকার আলী ভুট্টো ব্যাতীত আরও ৩ জন প্রার্থীর মনোনয়ন পত্র বৈধ হওয়ায় তারাও নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। তবে এখনও মাঠে নামতে দেখা যায়নি তাদের। বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের সাথে যোগাযোগ করা যায়নি। বালিয়া ইউনিয়ে ৯টি কেন্দ্রে মোট ভোটার সংখ্যা ২১ হাজার ৩৮৬ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১০ হাজার ৭৭৬ জন ও মহিলা ভোটার ১০ হাজার ৬১০ জন। চতুর্থ ধাপে আগামী ২৬ ডিসেম্বর এ ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই দিন কে হাসবে বিজয়ের হাসি সে অপেক্ষায় ইউনিয়নবাসী।

Some text

ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা

[sharethis-inline-buttons]

Leave a Reply

আমি প্রবাসী অ্যাপস দিয়ে ভ্যাকসিন…

লঞ্চে যৌন হয়রানি