বিএনপির মহাসচীব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, খালেদা জিয়া জেলে থাকায় তারেক রহমান সিনিয়ার ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দলের দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি দলের মধ্যে থেকেই বিভিন্ন পদে ধারাবাহিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।
নির্বাসনে থেকেও তিনি অত্যন্ত সফলতার সাথে দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন, দলকে সুসংগঠিত করছেন। তিনি দলের প্রতিটি নেতাকর্মীর সাথে যোগাযোগ রাখছেন। তাই দলের নেতৃত্ব নিয়ে কোন প্রশ্নই আসেনা। তিনিই আমাদের দলের নেতা। তার নেতৃত্বেই আগামিতে আন্দোলন সংগ্রাম পরিচালিত হবে। তিনি সোমবার পৌর শহরস্থ কালিবাড়ির নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে উপরোক্ত কথা বলেন।
বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে বিভিন্ন মহলের কথার বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিভিন্ন সময়ে চড়াই উতরাইয়ের মধ্য দিয়ে গেছে। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাত বরণের পর অনেকেই মনে করেছিলো বিএনপির অবস্থা বোধয় শেষ। কিন্তু বিএনপি উঠে দাড়িয়েছিলো এবং তিন তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনায় এসেছে। গত ১২ বছর ধরে দেশ বড় ধরনের রাজনৈতিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ১৯৭১ সালে গণতন্ত্রের মাধ্যমে আমাদের যে অর্জন ছিলো আওয়ামী লীগ সরকার তা নষ্ট করেছে।
তিনি আরো বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন বা স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়ে বলতে গিয়ে আমি বলবো যে দেশের সকল ধরনের নির্বাচনের ওপরে দেশের মানুষের আস্থা উঠে গেছে। বিগত সময়ে জাতীয় সংসদ নির্বাচনেই আমরা এর প্রতিফলন দেখেছি।
গণতন্ত্রের প্রথম যে স্তম্ভ, সেটিকেই সরকার অবৈধভাবে নিজেদের মত করে পরিচালনা করে অবৈধভাবেই ক্ষমতায় বসে রয়েছে। প্রধান নির্বাচন কমিশনার সম্পর্কে তিনি বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কথা শুনলে মনে হয় যেনো তিনি সরকারের সকল চাওযা পাওয়া আদেশ নিষেধ মানার জন্যেই বসে রয়েছেন। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা যাবো কিনা দলগতভাবে আমরা সে সিদ্ধান্ত এখনো নেইনি।
শহীদ জিয়ার কবর বিষয়ে তিনি বলেন, এ ইশুটিই একটি কুরুচিকর ও অরাজনৈতিক ইশু। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন এবং শাহাদাত বরণের পর সেনাবাহিনির তত্যাবধানেই পোষ্টমর্টেম করে তাকে দাফন করা হয়েছে। এটি নিয়ে কোন প্রশ্ন উঠতে পারে না। এ বিষয়টি ধ্রুবতারার মত শত্য । লুই কানের নকশাটি ছিল পাকিস্তানী আমলের।
এ নকশায় উপর থেকে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন এখানে পাকিস্তানের পতাকার চাদ তারার নকশা রয়েছে। আইউব খানের আমলে এাটকে সেকেন্ড কেপিটেল করার চিন্তা ধারা ছিলো। এর পরেতো অনেক পরিবর্তন হয়েছে। গণ ভবন, স্পিকারের ডিপুটি স্পিকারের বাসা তৈরী হয়েছে। মেট্রো রেলের বিশাল একটা অংশ এতে ঢুকেছে। দেশের জনগণকে ভিন্ন পথে
পরিচালনা করাই এ সরকারের বর্তমান লক্ষ্য।
করোনাতে ফেইলিওর, ডেংগুতে ফেইলিয়র, মানুষের জানমালের নিরাপত্তা দিতে ফেইলিওর। মানুষের আসল সমস্যানিয়ে মনোযোগ না দিয়ে ভিন্ন পথেই চিন্তাভাবনাকে পরিচালনা করছে তারা।
সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে জেলা বিএনপির সভাপতি বীরর মুক্তিযোদ্ধা তৈমুর রহমান, সাধারন সম্পাদক মির্জা ফয়সল আমিন, সহ সভাপতি ওবায় দুল্লাহ মাসুদ ,অর্থ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ সহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]