পরিচর্যা করা হোক কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো। প্রায় প্রত্যেক এলাকায় বর্তমান সময়ে কমিউনিটি ক্লিনিক বাস্তবায়ন রয়েছে। তবে এগুলোতে তেমন দক্ষ চিকিৎসক না থাকায় এবং অনেক কমিউনিটি ক্লিনিকে যে ঔষুধগুলো ফ্রিতে দেওয়ার জন্য সরকার প্রদান করে থাকে সে ঔষুধগুলো কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে দেওয়া হয় না । তাই গ্রামের সাধারণ মানুষ কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে অনিহা বোধ করে।
জ্বর, সর্দি কিংবা হালকা মাথা ব্যাথা হলে ফার্মেসিতে চলে যায় ঔষুধের জন্য। বর্তমান সময়ে দেখা যাচ্ছে কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো প্রায় বন্ধের মত।কর্মকর্তা ছাড়া আর রোগীর উপস্থিতি দেখা যায় না বললেই চলে।কিন্তু অপর দিকে বেলা শেষে আমরা যদি নজর দেয় ফার্মেসীগুলোতে তাহলে দেখতে পাই—
জ্বর-জ্বর অনুভব,পেটে ব্যথা, পেটের সমস্যা, হাটু ব্যথা,সর্দি, দু’দিন আগে হোছট খেয়ে ব্যথা পেয়েছি ইত্যাদি বিষয় নিয়ে ফার্সেমীতে লাইন ধরে থাকে।
ফার্মেসীগুলোতে অনেকেই প্রাথমিক অবস্থায় রোগীকে এন্টিবায়োটিক ওষুধ প্রয়োগ করে থাকে। এতে সাময়িক অসুস্থ থেকে সেরে উঠলেও পরবর্তী সময়ে দেখা যায় এন্টিবায়োটিক মারত্মক প্রভাব ফেলে শরীরে। এতে করে দেখা যায় এক সময় হালকা অসুস্থ অনুভব হলে এন্টিবায়োটিকের প্রয়োজন পড়ে এবং শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে পার্শ্বতিক্রিয়া দেখা দেয়।
প্রত্যেকটি কমিউনিটি ক্লিনিকে যদি দক্ষ চিকিৎসক রাখা হয় এবং গ্রামের সাধারণ মানুষকে কমিউনিটি ক্লিনিকে যেতে উদ্ভুদ্ধ করা হয়।তাহলে গ্রামের সাধারণ মানুষ অসুস্থ হলে সু-চিকিৎসা পাবে। এবং নিরাময় কেন্দ্র হিসেবে প্রথম অবস্থায় বেছে নিবে কমিউনিটি ক্লিনিক। তাই দ্রুত প্রত্যেক কমিউনিটি ক্লিনিকে দক্ষ চিকিৎসক রাখা হোক এবং ফার্মেসীগুলোতে প্রেসক্রিপশনবিহীন ঔষুধ বিক্রয় বন্ধ করা হোক।
মাহমুদ নাঈম: লেখক ও ছড়াকার
কিশোরগঞ্জ
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা, সমকালীন ভাবনা
[sharethis-inline-buttons]