অমরত্ব–ফল
————————
পেন্সিলে’র দাগ- রাবারে মুছে ফেলতে পারো।
কিন্তু- যা লেখা হয়, তা না মুছতে পারে,
লেখক তার- হৃদয় হতে।
না মুছতে পারে, পাঠক তার-পাঠ-ক্রিয়া’র
হৃদয় অনুভব-অনুশীলন হতে।
হৃদয় হতে উৎসারিত সব- শব্দে’র ভবিষ্যৎ
পেন্সিলে’র গর্ভ হতে’ই আসে।
মানুষ অতীত মনে রাখুক-বা-না রাখুক,
পেন্সিল তার- অতীত লিখে রাখে, ভবিষ্যতে’র পৃষ্ঠায়।
পেন্সিলে’র ইতি ঘটে।
কিন্তু- ছাপে’র ইতি ঘটে-না।
ছাপে স্মৃতি বাড়ে।
স্মৃতি ধ্যান বৃদ্ধি করে।
ধ্যান লিখনি-শক্তি সমৃদ্ধ করে।
সমৃদ্ধি মানুষ-কে ঐতিহাসিক করে।
পেন্সিল তার নিঃশেষে- মানবে’র অমরত্ব লিখে।
উৎসর্গ সব অঙ্কে, ইতিহাসে’র পৃষ্ঠা- রচনা করে।
করা দিয়ে’ই যেহেতু কর্ম-ফল।
উৎসর্গ দিয়ে’ই অমরত্ব-ফল।।
স্বাধীনতার প্রান্তিক অনুকম্পন
———————————-
শুক্লা-ক্রান্তি’র কাছে, ঋণী নই,
কিংবা- একাদশী’র কাছে।
পাল-তোলা নৌকা-গুলো যেমন-
দিক নির্ণয়ে’র মৌসুম খোঁজে।
আমিও ভরাডুবি’র কাছে,
নেতিয়ে দেই-নি, ভোরে জেগে ওঠা’র শ্বাস।
মে মাসে’র ঘাম ঝরা- বিকেলেও বপি-
প্রাতে’র কমনীয় আশ্বাস।
জীবনানন্দ ফুল-গুলোয়,
পাখী-গুলোয়,
নদী-গুলোয়
ঠাঁই দেখতেন- বেশী।
আমি বে-মালুম স্মৃতি’র অ-গোচরে,
পুঁতে রেখেছি, সে-সব!
কাল-কিনি, আজ-কিনি’র মধ্যে-
নিনাদ করি-না, সরব ।
শ্বাসে’র সাথে- বল-প্রেম যোগ করে,
উড়িয়ে দেওয়া- সংক্রমণ আমার।।
পথের নকশা
——————————
পৃথিবী’র বুক ফেড়ে, তুলে আনে, সময়ে’র সক্ষম দাবি- ইনসান।
মিটে-না, জুটে-না, পথে’র সারি ।
সম্মিলিতে’র কাছে, একক’- এর কী- দুর্দশা!
দেখেছে, সমাজ অধিপতি।
দেখেছে, পথে’র নুরি।
দেখেছে, ভাবে’র বুড়ি।
যুগে’র কালসিটে দাগ- মুছে দেয়া’র প্র-বক্তা কোথায় ?
কোন জামানায়- তার ভ্রুণ পোতা ?
জানো কী- কেউ ?
জীবনে’র সুদ নিয়ে, যে- রসদ ?
সে- রসদে, মন পুড়ে, ছাই হলে’ই কী- মিলে যাবে, সু-বোধ পথে’র নকশা ?
কলম্বাসে’র আমেরিকা কী- তার জীবন-দায়ী হতে পেরেছে ?
লেখক: মনিরুজ্জামান প্রমউখ
চাঁদপুর, বাংলাদেশ
Some text
ক্যাটাগরি: মতামত
[sharethis-inline-buttons]