ঠাকুরগাঁও জেলা ট্রাক, ট্র্যাংকলরী, কাভার্ড ভ্যান ও পিকআপ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি সুজন আলীর বিরুদ্ধে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বৃহস্পতিবার পৌর শহরের বাসষ্ট্যান্ড এলাকায় অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের সভাপতি জয়নুদ্দিন বলেন, সংগঠনের সাবেক সভাপতি সুজন আলী গত বুধবার যে সংবাদ সম্মেলন করেন সেখানে বলেছেন করোনার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ শ্রমিকদের প্রনোদনার টাকা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে জড়িতে আমরা মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছি। প্রকৃতপক্ষে সংগঠনের পুরো জেলায় ১১ হাজার শ্রমিকের বিপরীতে এ পর্যন্ত মাত্র ২ হাজার ৫শ শ্রমিক প্রনোদনার টাকা পেয়েছেন।
এছাড়াও সম্প্রতি ১ হাজার ৩৮৪ জন শ্রমিকের নামের তালিকা ইউএনও’র মাধ্যমে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের রংপুর বিভাগীয় কমিটির কাছে প্রেরন করা হয়েছে। সুজন আলী যে ১৫২ জন শ্রমিকের তালিকা দিয়েছেন ওই তালিকা সংগঠনের কোন তালিকা নয়।
পরিমানে স্বল্প সংখ্যক হলেও প্রনোদনা পাওয়ায় আমরা প্রধানমন্ত্রীর প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়েছি। শ্রমিক আইনের একটি ধারা উল্লেখ করে কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও রাষ্ট্রীয় জরুরী অবস্থা, প্রাকৃতিক দুযোর্গ বা অনুরুপ কোন কারণে ট্রেড ইউনিয়নের ক্ষেত্রে ২ বছর বা প্রতিষ্ঠানপুঞ্জের ক্ষেত্রে ৩ বছরের মধ্যে নির্বাচন না হলেও ওই কমিটিকে অবৈধ ঘোষনা করা যাবে না। কিন্তু সুজন আলী সর্বশেষ কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বিদায়ী উল্লেখ করে মানহানিকর অপরাধ করছেন। আমরা ধারনা করছি নির্বাচন যাতে না হয় এবং হলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের জন্য বিভিন্ন অপচেষ্টায় লিপ্ত আছেন সুজন আলী।
সে বর্তমান সকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে নিজেই ইতিপূর্বে আপত্তিকর মন্তব্য করে আমাদের সংগঠনকে হেও প্রতিপন্ন করেছেন। এ অবস্থায় সংগঠনের সাবেক সভাপতি সুজন আলীর মিথ্যাচার, বানোয়াট ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছাড়ানোর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি। এ সময় সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি ও কার্যনির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
Some text
ক্যাটাগরি: নাগরিক সাংবাদিকতা
[sharethis-inline-buttons]